India Justice Report: ভারতে ১০ লক্ষ লোক পিছু ১৫ বিচারক
India Justice Report: দেশের হাইকোর্টগুলিতে এখন ৩৩ শতাংশ বিচারপতির পদ খালি রয়েছে। জেলা বিচারব্যবস্থায় তা ২১ শতাংশ। ফলে হাইকোর্টের বিচারপতিদের উপর মামলার চাপ বাড়ছে। এলাহাবাদ ও মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টে বিচারপতি পিছু ১৫ হাজার মামলার ভার রয়েছে।

নয়াদিল্লি: ১৪০ কোটি ভারতবাসী। দিনদিন মামলার সংখ্যাও বাড়ছে। কিন্তু, সেই মামলাগুলির শুনানির জন্য দেশে কি বিচারকের সংখ্যা পর্যাপ্ত রয়েছে? ২০২৫ সালের ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট (IJR) সামনে আসার পর এই প্রশ্ন উঠে গেল। ওই রিপোর্ট বলা হয়েছে, ১৪০ কোটির দেশে বিচারকের সংখ্যা ২১ হাজার। অর্থাৎ প্রতি ১০ লক্ষ নাগরিক পিছু ১৫ জন বিচারক রয়েছেন দেশে।
১৯৮৭ সালে ল কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী, প্রতি ১০ লক্ষ নাগরিক পিছু বিচারকের সংখ্যা ৫০ হওয়া দরকার। সেখানে ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট বলছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট-সহ দেশে বিচারকের সংখ্যা ২১ হাজার ২৮৫। দেশে বিচারকের অনুমোদিত সংখ্যার থেকে অনেকটাই কম। দেশে এই সময় অনুমোদিত বিচারকের সংখ্যা হওয়া দরকার ২৬ হাজার ৯২৭। তবে ২০২২ সালের থেকে এই তিন বছরে বিচারকের সংখ্যা ৬ শতাংশ বেড়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, “২০১১ সালের জনগণনার হিসেবে ১০ লক্ষ লোক পিছু ২১ জন বিচারক রয়েছেন দেশে। কিন্তু, ২০২৫ সালের মার্চের জনসংখ্যা ১৪০ কোটি ছাড়িয়েছে বলে ধরা হয়। সেই হিসেবে ১০ লক্ষ লোক পিছু ১৫ জন বিচারক রয়েছেন দেশে। অনুমোদিত বিচারকের সংখ্যা পূরণ হলেও তা ১০ লক্ষ পিছু ১৯ জন বিচারক হবে। ১৯৮৭ সালের ল কমিশনের সুপারিশ থেকে যা অনেকটাই কম হবে।”
এই খবরটিও পড়ুন




দেশের হাইকোর্টগুলিতে এখন ৩৩ শতাংশ বিচারপতির পদ খালি রয়েছে। জেলা বিচারব্যবস্থায় তা ২১ শতাংশ। ফলে হাইকোর্টের বিচারপতিদের উপর মামলার চাপ বাড়ছে। এলাহাবাদ ও মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টে বিচারপতি পিছু ১৫ হাজার মামলার ভার রয়েছে। আর দেশে জেলা আদালতের ক্ষেত্রে বিচারক পিছু এখন মামলা পড়ে ২ হাজার ২০০। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে হাইকোর্টগুলিতে ৬৯৮ জন বিচারপতি নিয়োগ করা হয়েছে।
বিচারব্যবস্থায় মহিলা বিচারকের সংখ্যা কত?
দেশ জুড়ে জেলা বিচারব্যবস্থায় ২০১৭ সালে মহিলা বিচারক ছিল ৩০ শতাংশ। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৩৮ শতাংশ। ২০১৭ সালের হাইকোর্টগুলিতে মহিলা বিচারপতি ছিল ১১.৪ শতাংশ। ২০২৫ সালে সেই হার বেড়ে হয়েছে ১৪ শতাংশ। সুপ্রিম কোর্টে মহিলা বিচারপতির হার এখন ৬ শতাংশ। ফলে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের চেয়ে জেলা আদালতগুলিতে মহিলা বিচারকের হার বেশি। দেশের ২৫টি হাইকোর্টের মধ্যে এই মুহূর্তে একটি মাত্র হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি কোনও মহিলা। গুজরাট হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি পদে এখন রয়েছেন সুনীতা আগরওয়াল। দেশের হাইকোর্টগুলির মধ্যে এই মুহূর্তে তিনিই একমাত্র মহিলা প্রধান বিচারপতি।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২৬টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের জেলা আদালতগুলিতে তিনটি মামলার মধ্যে একটি মামলা ৩ বছরের বেশি সময় ধরে ঝুলে রয়েছে। এই তালিকায় সবার উপরে রয়েছে বিহার। বিহারের জেলা আদালতগুলিতে ৭১ শতাংশ মামলা ৩ বছরের বেশি সময় ধরে ঝুলে রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, উত্তর প্রদেশে জেলা আদালতগুলিতে ৩ বছরের বেশি ঝুলে রয়েছে ৫০ শতাংশের বেশি মামলা।
হাইকোর্টের ক্ষেত্রে উত্তর প্রদেশে ৪.৫ লক্ষ মামলা ১০ বছরের বেশি ঝুলে রয়েছে। মহারাষ্ট্রের হাইকোর্টে ১.৭ লক্ষ মামলা ১০ বছরের বেশি ঝুলে রয়েছে। কর্নাটক, মণিপুর, মেঘালয়, সিকিম এবং ত্রিপুরা ছাড়া দেশের বাকি সব হাইকোর্টে দুটির মধ্যে একটি মামলা তিন বছরের বেশি ঝুলে রয়েছে।





