Marriage: বিয়ের পর নববধূর মুখ দেখতে ঘোমটা তুলতেই আঁতকে উঠল যুবক, সামনে এটা কে? যা হয়ে গেল
Marriage: গত ৩১ মার্চ বিয়ে ছিল। সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল, তবে মৌলবী সুরা (ইসলাম মতে বিয়ের মন্ত্র) পাঠ করার সময় পাত্রীর নাম মানতাশার বদলে তাহিরা বলে উল্লেখ করে।

লখনউ: কতই রঙ দেখি দুনিয়ায়… কোথাও পাত্রীর মায়ের সঙ্গে পালিয়ে যাচ্ছেন হবু জামাই, কোথাও আবার মেয়ের শ্বশুরকে পালিয়ে যাচ্ছেন মা- সাম্প্রতিক কয়েকটি ঘটনায় শোরগোল ফেলে দিয়েছে। বিয়ে নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। এবার আরও একধাপ পেরিয়ে ২২ বছরের যুবকের বিয়ে হয়ে গেল ৪৫ বছরের এক মহিলার সঙ্গে, যিনি আসলে পাত্রীর মা!
অবিশ্বাস্য মনে হলেও, সত্যি এটাই ঘটেছে। মহম্মদ আজিম নামক ওই যুবক উত্তর প্রদেশের মিরুটের ব্রহ্মপুরীর বাসিন্দা। তাঁর বিয়ে ঠিক হয়েছিল শামলি জেলার বাসিন্দা মানতাশা (২১) নামক এক যুবতীর সঙ্গে। আজিমের দাদা-বৌদিই বিয়ে ঠিক করেছিলেন।
গত ৩১ মার্চ বিয়ে ছিল। সব কিছু ঠিকঠাকই ছিল, তবে মৌলবী সুরা (ইসলাম মতে বিয়ের মন্ত্র) পাঠ করার সময় পাত্রীর নাম মানতাশার বদলে তাহিরা বলে উল্লেখ করে। এ কথা শুনে পাত্রের একটু সন্দেহ হয়। তারপরও নিকাহ করেন তিনি। বিয়ে শেষে যখন মাথার ওড়না তোলেন, তখন পাত্রের চক্ষু চড়কগাছ। এ তো তাঁর দেখা পাত্রী নয়!
তাহলে কাকে বিয়ে করলেন? ভাল করে দেখতেই বোঝেন, ইনি পাত্রীর মা। ৪৫ বছরের ওই মহিলা বিধবা। মেয়ের বিয়ের বদলে তিনি নিজেই বিয়ে করে নেন। এই ঘটনা দেখে পাত্র তো রেগে আগুন। ছোটেন থানায়। জানান প্রতারণার অভিযোগ।
অভিযোগকারী যুবকের দাবি, ৫ লক্ষ টাকা লেনদেনও হয়েছিল বিয়ের সময়। তার সঙ্গে প্রতারণা করা হয়েছে। মুখ খুললে মিথ্যা ধর্ষণের মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়েছে।
পরে পুলিশের তরফে জানানো হয়, দুই পক্ষের মধ্যে সমঝোতা হয়ে গিয়েছে। আজিম অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।





