
বেঙ্গালুরু: কয়েকদিন ধরে পরিবারের লোকজন তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। শেষে বাড়ির মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। আর তারপরই ভাড়াবাড়ি থেকে যুবতীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হল। দেহে পচন ধরতে শুরু করেছে। ঘটনাটি কর্নাটকের বেঙ্গালুরুর। বছর পঁচিশের মৃত যুবতীর নাম সুপ্রিয়া। এমবিএ স্নাতক ওই যুবতী বেসরকারি একটি সংস্থায় কাজ করতেন। বেঙ্গালুরুতে ভাড়াবাড়িতে একাই থাকতেন।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত যুবতীর বাড়ি কর্নাটকের দেবাঙ্গিরিতে। গত দেড় বছর ধরে বেঙ্গালুরুর গায়ত্রী নগরে একটি ভাড়াবাড়িতে একাই থাকতেন। বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করতেন তিনি। শনিবার ওই বাড়ির মালিককে ফোন করেন যুবতীর বাড়ির লোকেরা। তাঁরা জানান, কয়েকদিন ধরে মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। বিষয়টি দেখার জন্য বাড়ির মালিককে অনুরোধ করেন।
বাড়ির মালিক চারতলায় সুপ্রিয়ার রুমে গিয়ে দেখেন, দরজা ভেতরে থেকে বন্ধ। তখন তিনি পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে রুমে দরজা ভাঙে। তখনই দেখা যায়, গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন সুপ্রিয়া। দেহে পচন ধরে গিয়েছে। পুলিশের অনুমান, কয়েকদিন আগেই মৃত্যু হয়েছে যুবতীর। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলেই স্পষ্ট হবে, কতদিন আগে মৃত্যু হয়েছে তাঁর।
পুলিশ জানিয়েছে, পরীক্ষার জন্য যুবতীর মোবাইল ফরেন্সিক সায়েন্স ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হচ্ছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, যুবতী আত্মহত্যা করেছেন। তিনি অবসাদে ভুগছিলেন।
যুবতীর প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, গত দেড়-দু’মাস ধরে যুবতীকে বাইরে খুব একটা বেরতে দেখা যেত না। সুপ্রিয়া বাইক চালানোর প্রতি আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু, সম্প্রতি তাঁকে দুর্বল দেখাত। তিনি ডায়েটিশিয়ানের পরামর্শ মেনে ডায়েট অনুসরণ করতে শুরু করেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কী কারণে যুবতী আত্মহত্যা করেছেন, তা খতিয়ে দেখছে।