ফের শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া! লিভ-ইন সঙ্গী মেরে ফেলবে, বাবাকে বলার ২ দিন পর আলমারি থেকে উদ্ধার দেহ
Murder Case: বছর ছাব্বিশের ওই যুবতীকে কবে খুন করা হয়েছে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। মৃত যুবতীর বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে লিভ ইন সঙ্গী বিপুল টেলর খুন করেছে। ওই যুবতী তাঁর বাবাকে শেষবার যখন ফোন করেছিল, তখন জানিয়েছিল, বিপুল কথায় কথায় মারধর করে তাঁকে।
নয়া দিল্লি: ফের শ্রদ্ধা কাণ্ডের ছায়া রাজধানীতে। বাড়ির আলমারির ভিতর থেকে উদ্ধার হল এক যুবতীর দেহ। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না ওই যুবতীকে। মৃত যুবতীর বাবার সন্দেহ, লিভ-ইন সঙ্গীই খুন করেছে তাঁর মেয়েকে। মৃত যুবতীর লিভ-ইন সঙ্গীকে খোঁজার চেষ্টা করছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, গত বুধবার রাত ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ দিল্লি পুলিশের পিসিআরে ফোন আসে। এক ব্যক্তি জানান, কয়েকদিন ধরে তাঁর মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। হয়তো তাঁর মেয়েকে খুন করা হয়েছে। এরপরই পুলিশ ওই ব্যক্তির কাছ থেকে তাঁর মেয়ের ঠিকানা জোগাড় করে এবং সেই অনুযায়ী দ্বারকার রাজাপুরীর ওই ঠিকানায় পৌঁছয়। ওই ব্যক্তিও আসেন। ঘরে তন্নতন্ন করে করে খুঁজেও যুবতীকে পাওয়া যায়নি। পরে পুলিশ আলমারি খুলতেই দেখতে পায়, ভিতরে ওই যুবতীর দেহ ভরা। দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ফরেন্সিক টিম আনানো হয়েছে। বছর ছাব্বিশের ওই যুবতীকে কবে খুন করা হয়েছে, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। মৃত যুবতীর বাবার অভিযোগ, তাঁর মেয়েকে লিভ ইন সঙ্গী বিপুল টেলর খুন করেছে। ওই যুবতী তাঁর বাবাকে শেষবার যখন ফোন করেছিল, তখন জানিয়েছিল, বিপুল কথায় কথায় মারধর করে তাঁকে। খুন হওয়ার আশঙ্কাও প্রকাশ করেছিল বাবার কাছে। এরপর থেকেই যুবতীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করতে পারছিলেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরা। শেষে বুধবার তাঁর বাবা পুলিশে অভিযোগ জানান।
জানা গিয়েছে, বিগত দেড় মাস ধরে দ্বারকার ভাড়া বাড়িতে প্রেমিকের সঙ্গে লিভ-ইনে থাকছিলেন ওই যুবতী। বিপুল টেলর নামক ওই যুবক গুজরাটের সুরাটের বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় (খুন) অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজ পেতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের মে মাসে গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিল শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ড। ২৭ বছর বয়সী শ্রদ্ধাকে খুন করে তাঁর লিভ ইন সঙ্গী আফতাব আমিন পুনাওয়ালা। শ্রদ্ধার দেহ ৩৫ টুকরো করে এক মাস ধরে দিল্লির বিভিন্ন অংশে ফেলে এসেছিল আফতাব। মৃতদেহ রাখার জন্য ফ্রিজও কিনেছিল।