মেয়েকে গণধর্ষণ, অভিযোগ জানানোর দু’দিন পরেই নির্যাতিতার বাবাকে পিষে মারল ট্রাক

সোমবার গ্রামেরই তিন যুবক গণধর্ষণ (Gang Rape) করেছিল ১৩ বছরের কিশোরীকে। এরপরই নির্যাতিতার বাবা থানায় অভিযোগ জানান। কিন্তু ধর্ষকের পরিবারের তরফে লাগাতার হুমকি আসতে শুরু করে। বুধবার মেয়েকে স্বাস্থ্যপরীক্ষা করাতে নিয়ে যান, কিন্তু বাড়ি ফেরা হল না আর।

মেয়েকে গণধর্ষণ, অভিযোগ জানানোর দু'দিন পরেই নির্যাতিতার বাবাকে পিষে মারল ট্রাক
প্রতীকী চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Mar 10, 2021 | 1:09 PM

কানপুর: পুলিশের চোখ রাঙানি উপেক্ষা করেই মেয়েকে ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে গণধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছিলেন। হাতেনাতে মূল্য চোকাতে হল বাবাকে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা রুজু করার পর বুধবার সকালে মেয়ের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি, একফাঁকে হাসপাতালের বাইরে চা খেতে গিয়েই বিপদ নেমে এল, আচমকাই একটি ট্রাক দ্রুগতিতে এসে চাপা দিয়ে পালিয়ে গেল ওই ব্যক্তিকে। পুলিশের তরফে দুর্ঘটনা বলে জানানো হলেও মৃত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, পরিকল্পনা করেই তাঁকে খুন করা হয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশ(Uttar Pradesh)-র কানপুরের একটি গ্রামের বাসিন্দা ১৩ বছরের এক কিশোরীকে সোমবার গণধর্ষণ করে গ্রামেরই তিন যুবক। এরমধ্যে প্রধান অভিযুক্ত গোলু যাদবের বাবা আবার কনৌজ জেলার একটি থানার সাব-ইন্সপেক্টর। ধর্ষকের পরিবারের তরফে হুমকি দেওয়ার পরও নির্যাতিতার বাবা মঙ্গলবার থানায় অভিযোগ জানান। এরপরই হুমকি দিতে শুরু করে অভিযুক্তের পরিবার। মঙ্গলবারই নির্যাতিতার পরিবারের এক সদস্য অভিযোগ করেন, অভিযুক্তের দাদা ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে। বাবা পুলিশ হওয়ায় তাঁদের সাবধান থাকার বার্তাও দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন: ভারতে আসছে ২২ হাজার কোটির ঘাতক ড্রোন, ঘুম উড়েছে চিন-পাকিস্তানের

মঙ্গলবারই কানপুরের এক পুলিশ আধিকারিক ব্রীজেশ শ্রীবাস্তব বলেন, “নির্যাতিতার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে দ্রুত মামলা দায়ের করা হয়। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। তিন অভিযুক্তকে খোঁজা হচ্ছে।”

গণধর্ষণের অভিযোগ করায় নিয়ম মেনেই নির্যাতিতার স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বুধবার সকালে কিশোরীর বাবা তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষা(Health Check up)-র জন্য নিয়ে যান। যে সময়ে তাঁর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হচ্ছিল, সেই সময়ই নির্যাতিতার বাবা হাসপাতালের বাইরে খেতে বের হন। রাস্তা পার হওয়ার সময়ই আচমকা একটি ট্রাক এসে তাঁকে পিষে দেয়। কানপুরের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশের তরফে একটি দুর্ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

তবে নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, পরিকল্পনা করেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। মৃতের বাবা কাঁদতে কাঁদতে বলেন, “থানায় অভিযোগ জানানোর পর থেকেই লাগাতার হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। আমার ছেলেকে খুন করা হয়েছে। পুলিশ পক্ষপাতিত্ব করছে।”

আরও পড়ুন: Assam Assembly Election 2021: প্রথম দফার প্রচারেই ৪০ তারকা, নমো-শাহ ছাড়াও রাজ্যসফরে আসবেন কারা?