ভারতে আসছে ২২ হাজার কোটির অস্ত্রবাহী ড্রোন, ঘুম উড়েছে চিন-পাকিস্তানের
ভারতে আসতে চলেছে ৩০টি এমকিউ-৯বি প্রেডিটর। যা কিনতে মোট খরচ হবে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা।
নয়া দিল্লি: পাক (Pakistan) সীমান্তে প্রায়শই লঙ্ঘন হয় যুদ্ধবিরতি। লাদাখ সীমান্ত থেকে সবে সেনা সরতে শুরু করলেও ব্রহ্মপুত্র নদের উপর চিনের অতিকায় বাঁধ তৈরির কাজে ফের উত্তেজনার আবহ তৈরি হয়েছে উত্তর-পূর্ব সীমান্তে। সেই আবহে অস্ত্রবাহী ৩০টি ড্রোন কিনতে চলেছে ভারত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন আমেরিকা থেকে ভারতের এই ৩০টি ড্রোন কেনার খবরে রীতিমতো ঘুম উড়েছে চিন ও পাকিস্তানের। কারণ এতদিন ভারতে যে ড্রোন ছিল তাতে স্রেফ নজরদারি করা যেত, কিন্তু নতুন ড্রোনের মাধ্য়মে হামলাও করতে পারবে ভারতের সেনা।
সান দিয়েগোর জেনারেল অ্যাটমিকস স্পষ্ট করে কিছু না জানালেও সেখান থেকেই ভারতে আসতে চলেছে ৩০টি এমকিউ-৯বি প্রেডিটর। যা কিনতে মোট খরচ হবে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের সেনার কাছে বাড়তি পাওনা এই ড্রোনগুলি। সম্প্রতি আমেরিকার সঙ্গে প্রতিরক্ষায় বৃহত্তম অংশীদার হিসেবে নাম উঠে এসেছে ভারতের। ট্রাম্প আমল থেকে ভারতের সঙ্গে যে আমেরিকার যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল, বাইডেন আমলেও সেই ধারা অব্যাহত রয়েছে।
ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় বলয়ে চিনের আধিপত্য রুখতে ভারত, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান কোয়াড গঠন করেছে। সেই কোয়াডকে কাজে লাগিয়ে চিনের আগ্রাসী মনোভাবের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে চাইছে আমেরিকা, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। তাই দক্ষিণ এশিয়ায় আমেরিকার প্রতিরক্ষায় মূল অংশীদার হয়ে উঠেছে ভারত। যদিও ভারত ও আমেরিকার এই অস্ত্র কেনার বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি এ দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বা মার্কিন সংস্থার মুখপাত্রদের কেউ।
১২ মার্চ কোয়াড দেশগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, এ মাসেই ভারতে আসতে পারতেন মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন। ভারতে যে এমকিউ-৯বি ড্রোন আসার সম্ভাবনা রয়েছে, সেই ড্রোনগুলি টানা ৪৮ ঘণ্টা পর্যন্ত উড়তে পারে। ওজন নিতে পারে প্রায় ১৭০০ কিলোগ্রাম। মূলত ভারতীয় নৌ বাহিনী জলপথে চিনের যুদ্ধজাহাজের উপর নজরদারি রাখতে এই ড্রোনগুলি ব্যবহার করবে।
আরও পড়ুন: প্রথম দফার প্রচারেই ৪০ তারকা, নমো-শাহ ছাড়াও রাজ্যসফরে আসবেন কারা?