
মেঘানিনগর: টেক অফের পরেই মেঘানিনগরে জনবসতিতে ভেঙে পড়ে বিমান। দুর্ঘটনার বিভৎসতা দেখে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছিল কেউই বেঁচে নেই। একইসঙ্গে বসতি এলাকায় ভেঙে পড়ায় মৃতের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছিল। সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত শেষ পাওয়া আপডেটে জানা যাচ্ছে কমপক্ষে ৩১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দাবি আমেদাবাদের সিভিল হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের একাংশের। বিমানে ছিলেন গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। উদ্ধারের পর হাসপাতালে যখন তাঁকে আনা হয় তখন তাঁর দেহে প্রাণ ছিল না।
সোজা কথায় এমন বিমান বিপর্যয় আগে দেখেনি আসমুদ্রহিমাচল। বিজে মেডিক্যাল কলেজ প্রতিদিনের মতোই ছিল কর্মমুখর। দুপুরে সুপার স্পেশালিটি হস্টেলের মেসে খাবার খাচ্ছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। আচমকা তীব্র ভূমিকম্পের মতো কেঁপে ওটে হস্টেল চত্বর। এখানেই ভেঙে পড়ে অভিশপ্ত বিমানটি। এরপর শুধুই হাহাকার। ভেঙে পড়া অগ্নিদগ্ধ বিমানের গা বেয়ে ওঠা বিস্ফোরণের গোলা আছড়ে পড়ছে মাটিতে। সেই আগুনের গোলায় চোখের সামনে জীবন্ত জ্বলে উঠল একের পর এক জুনিয়র চিকিৎসক, নিরাপত্তা রক্ষী, হস্টেল চত্বরে যাতায়াতকারী মানুষের দেহ।
বিমানের ধ্বংসাবশেষের জেরে হস্টেলের ছাদে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝুরঝুর করে ধ্বংসলীলার সাক্ষী হয়ে ওঠে চিকিৎসক পড়ুয়াদের মেস ভবন। বিজে মেডিক্যাল কলেজের এমার্জেন্সি মেডিসিনের তৃতীয় বর্ষের পিজিটি জয় সাহা জানিয়েছেন, বিমানের যাত্রীদের কেউই জীবিত ছিল না। চিকিৎসা যাদের চলছে, তাঁরা সকলেই বিমানের ধ্বংসাবশেষের জেরে জখম মানুষজন। পরিস্থিতি এতখানি ভয়াবহ যে গুজরাতের সমস্ত প্লাস্টিক সার্জন, অর্থোপেডিকস, অ্যানাস্থেসিস্ট, নার্সদের সিভিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের চিকিৎসা করানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে আহমেদাবাদের চিকিৎসক-নার্সদের সংগঠন AHNA।