সরকারি হাসপাতালের আলমারিতে AK-47-র পর এবার ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার! কী ছক ছিল কাশ্মীরী চিকিৎসকের?
Terror Link: সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর থেকে ডঃ আদিল আহমেদ রাঠের নামক যে কাশ্মীরী চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর সূত্র ধরেই আজ দিল্লির অদূরে অভিযান চালানো হয়। ওই চিকিৎসক জানিয়েছিলেন যে মুজাহিল শাকিল নামে আরেক চিকিৎসকের কাছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্রশস্ত্র মজুত রাখা আছে।

শ্রীনগর: দেশে বিরাট নাশকতার ছক? বছর শেষের আগেই কি বড় কোনও হামলার পরিকল্পনা ছিল? রাজধানী দিল্লির অদূরেই উদ্ধার হল বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক, তাও আবার এক কাশ্মীরী চিকিৎসকের সূত্র ধরে। দিন দুয়েক আগেই ওই চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়েছিল জঙ্গি গোষ্ঠী জইস-ই-মহম্মদের সমর্থনে পোস্টার লাগাতে গিয়ে। এবার জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ উদ্ধার করল ৩৫০ কেজি অ্য়ামোনিয়াম নাইট্রেট, একটি একে-৪৭ সহ একাধিক অস্ত্রশস্ত্র।
হরিয়ানার ফরিদাবাদে অভিযান চালিয়ে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এই বিপুল বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার করে। সূত্রের খবর, উত্তর প্রদেশের সাহারানপুর থেকে ডঃ আদিল আহমেদ রাঠের নামক যে কাশ্মীরী চিকিৎসককে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর সূত্র ধরেই আজ দিল্লির অদূরে অভিযান চালানো হয়। ওই চিকিৎসক জানিয়েছিলেন যে মুজাহিল শাকিল নামে আরেক চিকিৎসকের কাছে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক ও অস্ত্রশস্ত্র মজুত রাখা আছে। এই চিকিৎসককেও খুঁজছে পুলিশ।
জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ সম্প্রতিই অনন্তনাগের সরকারি মেডিক্যাল কলেজের লকার থেকে একে-৪৭ রাইফেল ও অন্য অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। এরপরে হরিয়ানা পুলিশের সহযোগিতায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩৫০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করে।
ধৃত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও বেআইনি কার্যকলাপ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই চিকিৎসকের গ্রেফতারিতে গোয়েন্দারা মনে করছেন যে জঙ্গিরা এবার উচ্চশিক্ষিতদেরও নিয়োগ করছে জঙ্গি কার্যকলাপ চালাতে। ওই চিকিৎসকের কী পরিকল্পনা ছিল, তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। কীভাবে এই বিপুল পরিমাণ বিস্ফেরক সকলের নজর এড়িয়ে আনা হল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
