Toxic Gas Leak in Surat: নাকে কেমন একটা গন্ধ এল, তারপরই মাটিতে লুটিয়ে পড়লেন কর্মীরা! কারখানায় গ্যাস লিক করে মৃত ৬
Toxic Gas Leak in Surat:বৃহস্পতিবার সকালেই গুজরাটের সুরাটে গ্যাস লিকের এই ভয়াবহ কাণ্ডটি ঘটে। বর্তমানে অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সুরাত: সাতসকালেই ভয়াবহ কাণ্ড। রাসায়নিক বোঝাই ট্য়াঙ্কার (Chemical Tanker) থেকে বেরোনো বিষাক্ত গ্যাসে মৃত্যু হল ৬ কর্মীর। সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন প্রায় ২০জন। বৃহস্পতিবার সকালেই গুজরাট(Gujarat)-র সুরাটে গ্যাস লিকের (Gas Leak) এই ভয়াবহ কাণ্ডটি ঘটে। বর্তমানে অসুস্থ ব্যক্তিদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সুরাট(Surat)-র সচিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় অবস্থিত বিশ্বপ্রেম ডায়িং অ্যান্ড প্রিন্টিং মিলে এই ঘটনাটি ঘটে। ওই কারখানার বেশ কয়েকজন কর্মী রাতে কারখানার ভিতরেই ঘুমাচ্ছিলেন। ভোর ৪টে নাগাদ তাদের নাকে কড়া একটি রাসায়নিকের গন্ধ আসে। কয়েকজন কর্মী উঠে দেখতে যান যে কোথা থেকে গন্ধটি আসছে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্য়েই তারা সকলে সংজ্ঞাহীন হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এক কর্মী কোনও মতে দমকলে খবর দেন।
দমকল বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, ভোর ৪টে ২৫মিনিট তাদের কাছে ফোন আসে। বলা হয় যে, কারখানার ভিতরে আচমকাই ২৫-২৬ জন কর্মী সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়ে গিয়েছে। বিষাক্ত কোনও গ্যাস ছড়িয়ে পড়েছে হয়তো। এরপরই দমকল বিভাগের তরফে যথাযথ প্রস্তুতি নিয়ে কারখানায় যাওয়া হয়। কিন্তু কারখানার ভিতরে কোনও বিষাক্ত গ্যাসের উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।
পরে দেখা যায়, রাস্তার ধারে দাঁড়ানো একটি কেমিক্যাল বোঝাই ট্য়াঙ্কার থেকেই বিষাক্ত গ্য়াস ছড়িয়ে পড়ছে। সঙ্গে সঙ্গে ওই ট্যাঙ্কারের ঢাকনা বন্ধ করে বিষাক্ত গ্যাস নিঃসরণ বন্ধ করা হয়। সুরাট মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের অগ্নিনির্বাপণ বিভাগের শীর্ষ কর্তা বসন্ত পারেক জানান, ওই ট্যাঙ্কারটি বেআইনিভাবে বিষাক্ত কেমিক্যাল কারখানার পিছন দিকে ফেলে পালানোর পরিকল্পনা করছিল। ট্যাঙ্কারের ভিতরে কী রাসায়নিক পদার্থ ছিল, তা এখনও জানা যায়নি।
হাসপাতালের পথেই মৃত্যু শ্রমিকদের:
দমকল বাহিনী পৌঁছনোর পরই সংজ্ঞাহীন শ্রমিকদের উদ্ধার করা হয় ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু মাঝপথেই বেশ কয়েকজন শ্রমিকের মৃত্যু হয়। সুরাট সিভিল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা ৫জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরে আরও এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়। হাসপাতালের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ডঃ ওমকার চৌধুরী বলেন, “সচিন ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকায় এ দিন সকালে যে গ্যাস লিক হয়, তার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়া যে সমস্ত শ্রমিকদের আনা হয়েছিল, তাদের মধ্যে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকি ২০ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ”