Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মুম্বইয়ের ৫১ শতাংশ শিশুর শরীরেই কোভিড অ্যান্টিবডি: সেরো সার্ভে

Sero Survey: তৃতীয় ঢেউয়ে (third wave) সত্যিই কি প্রভাবিত হতে পারে শিশুরা? সেরো সার্ভে চলছে দেশের একাধিক রাজ্যে চলছে সমীক্ষা।

মুম্বইয়ের ৫১ শতাংশ শিশুর শরীরেই কোভিড অ্যান্টিবডি: সেরো সার্ভে
ছবি- পিটিআই
Follow Us:
| Updated on: Jun 28, 2021 | 9:08 PM

মুম্বই: দ্বিতীয় ঢেউয়ের চ্যালেঞ্জের সঙ্গে লড়াই করে ভারত এখন তৃতীয় ঢেউয়ের জন্য দিন গুনছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে শিশুদের ওপর আঘাত হানতে করোনার তৃতীয় তরঙ্গ। এরই মধ্যে আশা জাগাচ্ছে মুম্বইয়ের সেরো সার্ভের রিপোর্ট। গত ১ থেকে ১৫ এপ্রিলের মধ্যে ওই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। আর তাতে দেখা গিয়েছে ১৮ বছরের কম বয়সীদের ৫১.১৮ শতাংশের মধ্যেই রয়েছে কোভিড অ্যান্টিবডি। ২,১৭৬ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছিল।

১০ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের ৫৩.৪৩ শতাংশ ও ১৪ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের ৫১.০৪ শতাংশের শরীরে রয়েছে সেই অ্যান্টবডি। মুম্বই কর্পোরেশনের এক আধিকারিক জানান, মার্চেও একটি সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। কিন্তু এপ্রিলের সমীক্ষায় দেখা যায় অ্যান্টিবডির হার অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। মার্চে এই হার ছিল ৩৯.৪ শতাংশ। এই সমীক্ষার রিপোর্ট থেকে স্পষ্ট যে, অনেক বেশি সংখ্যক শিশু করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। গত মাসে কর্ণাটকের একটি সেরো সার্ভেতে দেখা যায়, মার্চ থেকে মে মাসের মধ্যে ১.৪ লক্ষ শিশু বা কিশোর করোনা আক্রান্ত হয়েছিল ওই রাজ্যে, যার মধ্যে ৪০ হাজার শিশু বা কিশোরের বয়স ১০-এর কম।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন তৃতীয় ঢেউ অনিবার্য। দ্বিতীয় ঢেউ শেষের ৭-৮ মাসের মধ্যে আছড়ে পড়তে পারে তৃতীয় ঢেউ। আর তাতেই শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ বলছেন এই তৃতীয় ঢেউয়ে বেশি সংক্রমিত হতে পারে শিশুরা। তবে রয়েছে পাল্টা দাবিও। নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পাল থেকে শুরু করে একাধিক বিশেষজ্ঞের দাবি, এমন কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি যেখান থেকে বলা যায় তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের ওপরই বেশি প্রভাব পড়বে।

আরও পড়ুন: ভারতের নয়া পালক! কলকাতা থেকে ছুড়লে কাশ্মীরেও আঘাত হানবে ‘অগ্নি প্রাইম’

ইতিমধ্যে এইমস ও হু সমীক্ষা করে জানিয়েছে, তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ অধিক অংশের শিশুরাই সেরো পজেটিভ। অর্থাৎ তাদের দেহে করোনাভাইরাসের অ্যান্টবডি দেখা গিয়েছে। সমীক্ষার দাবি দিল্লির ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে শিশুদের সেরোপ্রিভেলেন্স হার ৭৪.৭ শতাংশ। দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগেও ১৮ বছরের কম বয়সী ৭৩.৯ শতাংশ শিশুর মধ্যেই অ্যান্টিবডি দেখা দিয়েছিল। এর আগে এইমস হাসপাতালের ডিরেক্টর ডঃ রণদীপ গুলেরিয়া জানিয়েছিলেন, ভারত বা আন্তর্জাতিক স্তরেও এমন কোনও তথ্য নেই যেখানে বলা হয়েছে যে শিশুরাই সবথেকে বেশি প্রভাবিত হবে।