
আহমেদাবাদ: নিমিষে চলে গেল ছয়টা প্রাণ। গুজরাটের পঞ্চমহল জেলার পাভাগড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। আচমকাই ছিঁড়ে পড়ল মালবোঝাইকারী একটি রোপওয়ে। শনিবার দুপুর নাগাদ এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সাড়ে তিনটের সময় হঠাৎ করেই একটা বিকট শব্দ হয়। কোথা থেকে শব্দটা ভেসে এল তা দেখতে গিয়েই সকলে দেখেন দড়ি ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে একটি মালবোঝাইকারী রোপওয়ে।
পাভাগড়ের পাহাড়ের কোলেই রয়েছে একটি কালী মন্দির। প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী ওই মন্দির দর্শনে আসেন। আর এমনই একটা জনবহুল জায়গায় ঘটে গেল বড় বিপত্তি। গোধরা-পঞ্চমহলের রেঞ্জের এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ছিঁড়ে পড়া রোপওয়েটি নির্মাণকাজের জন্য পণ্যবাহী রোপওয়ে হিসাবে ব্যবহার করা হত। ওই মন্দিরটি ভূপৃষ্ঠ থেকে ৮০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত হওয়ায়, সেখানে পুণ্যার্থীদের জন্যও একটি রোপওয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু শনিবার আবহাওয়া জনিত কারণে সেটি বন্ধ থাকায়, পুণ্যার্থীরা হেঁটেই মন্দির দর্শনে যান।
একদিকে পুণ্যার্থী রোপওয়ে বন্ধ থাকল, অন্যদিকে পণ্যবাহী রোপওয়ে চলল নির্দ্বিধায়। কিন্তু কেন? প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। আবহাওয়া জনিত কোনও প্রভাবই কি মাঝ আকাশে পড়েছিল ওই ছিঁড়ে পড়া রোপওয়েটির উপর। উত্তর এখনও অধরা। পুলিশ জানিয়েছে, রোপওয়েটি ছিঁড়ে পড়ার কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আবহাওয়া নাকি অন্য কোনও কারণ? তদন্তে নেমেছে পুলিশ-প্রশাসন। ছিঁড়ে পড়ার আগে রোপওয়েতে কতটা পণ্য চাপানো হয়েছিল, জানার চেষ্টা চলছে সেটাও।
ইতিমধ্যে নিহতদের শনাক্ত করেছেন উদ্ধারকারীরা। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম তরফে জানা গিয়েছে, নিহতদের তিনজন স্থানীয় বাসিন্দা। যাদের মধ্য়ে দু’জন আবার মন্দিরেরই কর্মী। একজন নিরাপত্তারক্ষী, অন্য জন, খাবার পরিবেশনকারী। এছাড়াও প্রাণ যাওয়া বাকি তিনজনের মধ্যে একজন রাজস্থান ও অন্য দু’জন জম্মু-কাশ্মীরের।