
নয়াদিল্লি: রোদ ঝলমলে দুপুর, আকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে মেঘ। আর সৌন্দর্য থেকে চোখ সরিয়ে নীচের দিকে তাকালেই দেখা যাবে নরক যন্ত্রণা। বৃহস্পতিবার আকাশ ফেটে মাটি চিরেছে এয়ার ইন্ডিয়ার আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এআই ১৭১ বিমান।
মেঘানিনগরের বিজে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ক্য়ান্টিনে গিয়ে ভেঙে পড়ে সেই বিমানটি। নিমিষে বিস্ফোরণ। সেকেন্ডের মধ্য়ে প্রাণ হারায় শতাধিক মানুষ। শেষ পর্যন্ত পরিসংখ্য়ান অনুযায়ী, এই ঘটনায় হাসপাতাল, বিমান যাত্রী, ক্রিউ ও দুর্ঘটনাস্থলে সেই মুহূর্তে থাকা মানুষের সংখ্যা মিলিয়ে প্রাণ গিয়েছে মোট ২৭৪ জনের।
টাইম অফ ইন্ডিয়াকে স্থানীয় বাসিন্দা রাজু প্যাটেল জানান, ‘যখন ঘটনাটি ঘটে, আমরা প্রায় ১৫ থেকে ২০ মিনিটের দূরত্বে ছিলাম। দেখি দমকল, অ্যাম্বুল্যান্স ছুটে যাচ্ছে সেই দিকে। আমরাও দেরি করি না। এগিয়ে যাই ঘটনাস্থলের দিকে। উদ্ধারে সাহায্য করতে। আমরা যখন পৌঁছই সেখানে ততক্ষণে মোট ১০৮টি অ্যাম্বুল্যান্স এসে দাঁড়িয়েছে।’
জ্বালানি ভর্তি বিমান উড়ানের মিনিট চারেকের মধ্যে দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে সেই এলাকায়। জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যায় শরীরগুলো। এতটাই পুড়ে যায় যে চেনার উপায় থাকে না। আর সেই ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকেন রাজু।
नैनं दहति पावक: !
विमान में सबकुछ जलकर खाक हो गया, पर विमान की राख़ से सुरक्षित मिली श्रीमद्भगवद गीता ! #Geeta #गीता pic.twitter.com/Z6ZPNI9usx
— 🚩 Ramesh Shinde 🇮🇳 (@Ramesh_hjs) June 14, 2025
তাঁর কথায়, ‘আমরা তাদের দেহ গুলো বিছানার চাদর, শাড়িতে মুড়িয়ে অ্যাম্বুল্যান্সে তুলছিলাম। প্রশাসনও আমাদের থাকার অনুমতি দিয়েছিল।’ এই উদ্ধারকাজ চলাকালীনই মোট যাত্রীদের স্যুটকেস ও ব্যাগ বিমান থেকে বের করে আনেন রাজু। সেখান থেকে উদ্ধার হয় মোট ৬৮ ভরি সোনা, একাধিক পাসপোর্ট, ভগবত গীতা ও ৮০ হাজার নগদ টাকা। যা পরবর্তীতে দায়িত্বপ্রাপ্ত থানার হাতে তুলে দেন রাজু।