
আহমেদাবাদ: বাড়িতে নবতিপর বাবা। সেই বাবার সঙ্গে আরও সময় কাটানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। বাবাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, চাকরি ছেড়ে তাঁর সঙ্গে এবার সময় কাটাবেন। সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারলেন না পাইলট সুমিত সভারওয়াল। আহমেদাবাদে অভিশপ্ত এয়ার ইন্ডিয়ার মৃতদের তালিকায় নাম রয়েছে বর্ষীয়ান এই ক্যাপ্টেনের।
বছর ষাটেকের সুমিত দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানের পাইলট ছিলেন। বিমান চালানোর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা। ৮ হাজার ২০০ ঘণ্টা বিমান চালিয়েছেন। মুম্বইয়ের পাওয়াইয়ে ৯০ বছরের পিতার সঙ্গে থাকতেন। বিয়ে করেননি। সুমিতের বাবাও ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সিভিল অ্যাভিয়েশনে চাকরি করতেন। অবসরের পর ছেলের সঙ্গে পাওয়াইয়ের বাড়িতে থাকতেন।
সুমিতের দিদি দিল্লিতে থাকেন। তাঁর দুই ছেলেও পাইলট। সুমিতের প্রতিবেশীরা বলছেন, খুব কম কথা বলতেন বর্ষীয়ান এই পাইলট। কিন্তু, বাইরে যাওয়ার সময় তাঁর বাবার খোঁজখবর রাখার জন্য প্রতিবেশীদের বলে যেতেন।
শিবসেনা বিধায়ক দিলীপ লান্ডে এদিন সুমিতের বাবাকে সমবেদনা জানাতে যান। তিনি বলেন, “কিছুদিন আগেই সুমিত তাঁর বাবাকে বলেছিলেন, চাকরি ছেড়ে সবসময় বাবার পাশে থাকবেন।” বাবাকে দেওয়া সেই প্রতিশ্রুতি রাখতে পারলেন না বর্ষীয়ান এই পাইলট।
এয়ার ইন্ডিয়ার AI171 এই বিমানে সুমিতের কো-পাইলট তথা ফার্স্ট অফিসার ছিলেন ক্লাইভ কুন্দের। ১ হাজার ১০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা ছিল তাঁরও। কুন্দেরের মাও একসময় বিমানসেবিকা ছিলেন। দুর্ঘটনায় সুমিতের এই কো-পাইলটেরও মৃত্যু হয়েছে। কুন্দেরের বাবা-মা এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে রয়েছেন। সেখানের ক্লাইভের বোনের কাছে গিয়েছেন তাঁরা।