
মহারাষ্ট্র: এখন গুলির শব্দ পাওয়া যায় না। কানে আসে না ভারী ভারী বুটের শব্দ। হয় না বোমাবাজি। আগের থেকে অনেকটাই বদলে গিয়েছে এলাকার ছবি। শনিবার সেখানে পা রেখেছিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। দক্ষিণ গাডচিরোলিতে একটি ১০০ শয্য়া বিশিষ্ট হাসপাতালের উদ্বোধন করেছেন তিনি। আগে যে এলাকায় দিনের আলোতেও বাইরে পা রাখতে পারতেন না মহিলারা। শৈশব জীবন কাটাতে পারত না শিশুরা। সেখানেই তৈরি হয়েছে নতুন হাসপাতাল। তাও আবার এলাকা মহিলা-শিশুদের জন্যই।
কিন্তু কেনই বা এত প্রতিবন্ধকতা ছিল? স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গোটা এলাকার অধিকাংশ মানুষজনই আদিবাসী। আর গোটা এলাকায় এককালে দাপট ছিল মাওবাদীদের। সশস্ত্র লাল ফৌজের অন্যতম কেন্দ্র ছিল মহারাষ্ট্রের এই গাডচিরোলি। শনিবার সেখানে একটি হাসপাতাল উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবীস। যার দরুণ খরচ পড়ল মোট ৮৩ কোটি টাকা।
এদিন জেলাশাসক অভিশান্ত পান্ডে বলেন, ‘রাজ্য ও জেলাস্তরের প্রশাসনের সমন্বয়ের ফল এই হাসপাতাল। মোট ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল তৈরিতে রাজ্য সরকার ভীষণ ভাবে সাহায্য় করেছে। তাঁরা যে অর্থ বরাদ্দ করেছিল, তা জেলাস্তরে প্রশাসন সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়েছে।’ প্রশাসনিক সূত্রে খবর, মূলত গাডচিরোলির পাঁচটি তালুক এই হাসপাতালের অন্দরে রয়েছে। যথাক্রমে ইটাপাল্লি, ভাম্রাগড়, সিরোঞ্চা, ধনোরা ও অহেরি। আগে যেখানে এই এলাকার বাসিন্দাদের অসুস্থ হলেই নাগপুর কিংবা চন্দ্রপুরে ছুটতে হত, এবার থেকে পাঁচ এগোলেই পৌঁছে যাওয়া যাবে হাসপাতালে।
মূলত, প্রসূতিদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে এই হাসপাতালটি। ১৩ হাজার স্কোয়ার মিটার জুড়ে বিস্তৃত হাসপাতাল পরিষেবার জন্য় তৈরি থাকবে সর্বক্ষণ। ইতিমধ্য়ে হাসপাতালের দায়িত্ব বিশিষ্ট চিকিৎসকদের হাতে তুলে দিয়েছে সে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতর। তৈরি করা হয়েছে সি-সেকশন বিভাগ, ক্রিটিক্যাল ইউনিট। যা রোগী পরিষেবার জন্য় তৈরি থাকবে ২৪ ঘণ্টা।