বাবার মরদেহর সামনেই বিয়ে যুবকের, পাত্রীর সিঁথিতে সিঁদুর পরাতেই যা ঘটল তা ভাবা যায় না

অনেকের কপালেই জোটে না মা বা বাবার আশীর্বাদ। তবে দক্ষিণ ভারতের কুড্ডালোরের মানুষ এমন এক বিয়ে দেখল, যা অবিশ্বাস্য। বাবাকে দেওয়া কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে গিয়ে, এক যুবক যা করলেন তা সত্য়িই চোখে জল নিয়ে আসে।

বাবার মরদেহর সামনেই বিয়ে যুবকের, পাত্রীর সিঁথিতে সিঁদুর পরাতেই যা ঘটল তা ভাবা যায় না

|

Apr 19, 2025 | 11:42 PM

সব সন্তানরাই চায়, মা-বাবার আশীর্বাদ নিয়েই নতুন সংসার শুরু করতে। মা-বাবাকে সাক্ষী রেখেই সাত পাকে বাঁধা পড়তে। কিন্তু সবার কি সেই ইচ্ছাপূরণ হয়? হয়তো না। বরং অনেকের কপালেই জোটে না, মা বা বাবার আশীর্বাদ। তবে বাবাকে দেওয়া কথা অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে গিয়ে, এক যুবক যা করলেন তা সত্য়িই চোখে জল নিয়ে আসে।  দক্ষিণ ভারতের কুড্ডালোরের মানুষ দেখল এক অদ্ভুত বিয়ে।

যুবকের নাম আপ্পু। দক্ষিণ ভারতের কুড্ডালোর জেলার কাভানাই গ্রামের বাসিন্দা। আপ্পুর সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয় পাশের গ্রামের বিজয়শান্তির। এই বিয়ে একেবারেই লাভ ম্যারেজ। দুই পক্ষের মা-বাবার সম্মতি নিয়েই বিয়ের তারিখ ঠিক হয়। দুই বাড়িতে শুরু হয় আয়োজন। কিন্তু হঠাৎই অঘটন আপ্পুর পরিবারে। আচমকাই পেটে ব্যথা অনুভব করেন আপ্পুর বাবা সেলভারাজ। বাবার অসুস্থতা দেখে তৎক্ষনাৎ তাঁকে নিয়ে হাসপাতালেও ছোটেন আপ্পু। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। হাসপাতালে নিয়ে যেতেই সেলভারাজকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। বিয়ের বাড়িতে নেমে আসে শোকের ছায়া। একমাত্র ছেলের বিয়ে জীবিত অবস্থায় দেখে যেতে পারেন না সেলভারাজ। কিন্তু ছেলে আপ্পুর মন মানতে চায় না এই অঘটন। কারণ, বাবাকে তো সে কথা দিয়েছে!

১৮ এপ্রিল, বাবার শেষকৃত্যের সময় আপ্পু ঠিক করেন, শ্মশানে দাঁড়িয়েই বিয়ে করবেন। যেমন ভাবা তেমনি কাজ। চোখে জল নিয়েই বাবার মরদেহের সামনে বিয়ে সারেন আপ্পু। হয় মালাবদল, তবে পাত্রী বিজয়শান্তি সিঁথিতে সিঁদুর পরাতে গিয়েই হাউ হাউ করে কেঁদে ওঠেন আপ্পু। বাবা বলে চিৎকার করে ওঠেন। কেঁদে ভাসান সেলভারাজের পুত্রবধূ বিজয়শান্তিও। গোটা গ্রাম দেখল এক অদ্ভুত বিয়ে। বিয়ে শেষে কান্না ভেজা চোখেই বাবাকে শেষ বিদায় জানাল আপ্পু ও তাঁর নববধূ। মাথা নত করে বাবাকে বললেন, আশীর্বাদ করো বাবা, আমরা যেন সুখী হই…।