
নয়াদিল্লি: একমাত্র মেয়ে ও স্ত্রী-কে নিয়ে যাচ্ছিলেন কুম্ভে ঘুরতে। কিন্তু পরিস্থিতি যে এতটা হাতের বাইরে চলে যাবে তা হয়তো আগে থেকে কোনও ভাবে আন্দাজ করতে পারেননি দিল্লিতে বসবাসকারী ওপিল সিংহ।
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি শেষ হচ্ছে মহাকুম্ভ। হাতে আর দিন কয়েক। তাই শেষ মুহূর্তে এসে কুম্ভ যাতে হাতছাড়া না হয়, তাই আগে ভাগে দর্শনে বেরিয়ে পড়েছেন বহু পুণ্যার্থী। তাদের মতোই গোটা পরিবার নিয়ে কুম্ভের দিকে রওনা দিচ্ছিলেন ওপিল সিংহও। কিন্তু তার আগেই যেন সব শেষ হয়ে গেল তাঁর।
সংবাদমাধ্যম NDTV-কে নিজের দুর্বিষহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন তিনি। তাদের কনফার্ম টিকিটই ছিল। তাই সময় মতো শনিবার রাতে পৌঁছে যান নয়াদিল্লি স্টেশনে। তখনও সব কিছুই শান্ত। ভিড় জমেছে বটে। কিন্তু বিশৃঙ্খলা নেই। কখন কুম্ভগামী ট্রেন আসবে, সেই নিয়ে অপেক্ষায় হাজার হাজার মানুষ।
ভিড় দেখে মনে কু ডেকেছিল ওপিলের। তিনি জানান, ‘১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামার ভিড় দেখে ভয়ে পিছু হটে যাই। আমি আমার স্ত্রীকে বলি, যে অনেক ভিড়, তার মধ্যে সঙ্গে বাচ্চাটাও রয়েছে। চলো বাড়ি ফিরে যাই।’
স্বামীর কথায় সায় দেয় স্ত্রীও। ভিড় দেখে বাড়ির পথেই রওনা দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্মে নামার আগেই মুখ ঘুরিয়ে উপরে উঠতে শুরু করেন তারা। এরপরই তিনি বলেন, ‘যখনই উপরে উঠতে যাই, দেখি আমার মেয়ে অন্য কিছু বাচ্চাদের মাঝে আটকা পড়েছে। আর উপর থেকে পাঁচ-ছয় হাজার যাত্রী ধেয়ে আসছে প্ল্যাটফর্মের দিকে। আর সেই হুড়োহুড়িতেই সবাই একে অপরের উপর পড়ে যেতে শুরু করে। তৎক্ষণাই দেখি ভিড়েই হারিয়ে যায় আমার মেয়ে।’
গতরাতে নয়াদিল্লি স্টেশনে পদপিষ্ট মৃত ১৮ জনের মধ্য়ে একজন এই ওপিল সিংহের সাত বছরের কন্যা। তিনি জানান, যখন মেয়ের হদিশ পেলেন দেখেন, মেয়ের কপাল ফুঁড়ে ঢুকে রয়েছে একটা বড় পেরেক।