তিরুবনন্তপুরম: নিজের বাড়িতে টিউশন পড়াতেন। আর ‘স্পেশাল ক্লাস’ দেওয়ার নাম করে ডেকেছিলেন ক্লাস ইলেভেনের ছাত্রীকে। তারপরই নাবালিকা ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন। সেই দায়ে এক গৃহশিক্ষককে ১১১ বছরের কারাদণ্ড দিল কেরলের তিরুবনন্তপুরমের একটি স্পেশাল ফাস্ট ট্র্যাক আদালত।
বছর চুয়াল্লিশের দোষীসাব্যস্ত ওই ব্যক্তি সরকারি কর্মচারী। বাড়িতে টিউশনও পড়াতেন। ২০১৯ সালের ২ জুলাই ঘটনাটি ঘটে। ক্লাস ইলেভেনের ওই ছাত্রীকে ‘স্পেশাল ক্লাস’ করানোর অছিলায় ডেকে পাঠান তিনি। তারপরই তাকে ধর্ষণ করেন। শুধু তাই নয়। নির্যাতনের ভিডিয়ো করেন। সেই ভিডিয়ো তাঁর বন্ধু-বান্ধবদের পাঠান।
ওই নাবালিকা এরপর ভয়ে টিউশন পড়তে যাওয়া বন্ধ করতেই বিষয়টি জানাজানি হয়। বাবা-মার কাছে সব জানায় সে। তখন তার বাবা-মা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনাটি জানার পর অভিযুক্ত ব্যক্তির স্ত্রী আত্মহত্যা করেন।
মামলার শুনানিতে অভিযুক্ত দাবি করেন, সেইসময় তিনি অফিসে ছিলেন। এমনকি, অফিসের সরকারি খাজিরা খাতায় তাঁর সেদিনের স্বাক্ষরও দেখান। কিন্তু, তাঁর ফোনের কল রেকর্ডস খতিয়ে দেখে জানা যায়, ওইদিন বাড়িতে ছিলেন তিনি।
তাঁকে দোষীসাব্যস্ত করে বিচারক আর রেখা বলেন, যেখানে ওই ব্যক্তির একজন ছাত্রীর কাছে অভিভাবক হওয়া দরকার। সেখানে তিনি এই অপরাধ করেছেন। এর কোনও ক্ষমা নেই। এরপরই তাঁকে ১১১ বছরের কারাদণ্ড দেন। এর পাশাপাশি ১ লক্ষ ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন বিচারক।