মাঝরাতে বাড়িতে আসত মেয়ের শ্বশুর, বেরিয়ে যেত ভোরে… তলে তলে চলছিল সবই, তারপর যা ঘটল! মাথায় বাজ মমতার স্বামীর
মমতার ছেলেও জানিয়েছে, বাবার অনুপস্থিতিতে শৈলেন্দ্রর যাতায়াত ছিল বাড়িতে। তার অভিযোগ, শৈলেন্দ্র যখন বাড়িতে আসতেন, তখন ছেলেকে অন্য ঘরে পাঠিয়ে দিতেন তাঁর মা।

বদাউঁ: মেয়ের প্রেমিকের সঙ্গে মায়ের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় সম্প্রতি শোরগোল পড়ে যায় আলিগড়ে। এবার বদাউঁর ঘটনায় তোলপাড় এলাকা। স্ত্রীকে না পেয়ে থানায় ছুটলেন স্বামী। তাঁর অনুপস্থিতিতে যে দিনের পর দিন বাড়িতে কী চলছিল, তার কিছুই টের পাননি তিনি।
পেশায় ট্রাক চালক সুনীল কুমার কাজের সূত্রে বেশিরভাগ সময় বাড়ির বাইরে থাকতেন। মাসে বার দুয়েক ফিরতেন বাড়িতে। তবে দূরে থাকলেও কর্তব্য থেকে বিরত থাকতেন না। সুনীল কুমারের দাবি, দূরে থাকলেও বাড়িতে টাকা পাঠিয়ে দিতেন নিয়ম করে। তাঁর ও তাঁর স্ত্রী মমতার মোট চার সন্তান। এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।
সুনীলের অনুপস্থিতিতে মমতার বড় মেয়ের শ্বশুর শৈলেন্দ্রর যাতায়াত ছিল ওই বাড়িতে। প্রতিবেশীরাও জানিয়েছেন সে কথা। তবে, আত্মীয় হওয়ায় কোনওদিনই কেউ তেমন সন্দেহ করেননি। এমন একটা ঘটনা যে ঘটে যাবে, তা ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কেউ! বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গেলেন স্ত্রী।
অভিযোগ, মেয়ের শ্বশুরের সঙ্গেই পালিয়ে গিয়েছেন মমতা। ক্রমশ প্রকাশ্যে আসছে, মমতার সঙ্গে শৈলেন্দ্র ওরফে বিল্লুর সম্পর্কের কথা। ২০২২ সালে শৈলেন্দ্রর ছেলের সঙ্গে মমতার মেয়ের বিয়ে হয়। এরপর সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে দাবি প্রতিবেশীদের। এক প্রতিবেশী জানাচ্ছেন, শৈলেন্দ্র ওই বাড়িতে যেতেন মধ্যরাতে আর বেরিয়ে যেতেন ভোরের দিকে।
মমতার ছেলেও জানিয়েছে, বাবার অনুপস্থিতিতে শৈলেন্দ্রর যাতায়াত ছিল বাড়িতে। তার অভিযোগ, শৈলেন্দ্র যখন বাড়িতে আসতেন, তখন ছেলেকে অন্য ঘরে পাঠিয়ে দিতেন তাঁর মা। সুনীল কুমারের অভিযোগ, শৈলেন্দ্রর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী পালিয়ে গিয়েছেন। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছেন টাকা ও গয়না। স্থানীয় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। পুলিশ মমতা ও শৈলেন্দ্রকে খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।





