
নয়াদিল্লি: দেশের ব্যালোটে বিশেষ প্রভাব না ফেললেও, ছাত্র পরিষদের ব্যালটে বরাবরই নিজেদের জায়গা ধরে রেখেছে বামেরা। প্রসঙ্গ যখন দেশের এলিট বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ছাত্র পরিষদীয় নির্বাচন। তখন সেখানে দিনশেষে জয় হাসিল করেছে বামেরাই।
সাড়ে চার বছর পর অবশেষে ২০২৪ সালে ছাত্র সংসদের নির্বাচনের নির্ঘণ্ট বেজেছে দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে। গত শুক্রবার সেই নিরিখেই ছিল ভোটগ্রহণ পর্ব। যার ফলাফল প্রকাশ্যে এল সোমবার। ভোট পড়েছে ৭০ শতাংশ। ভোট দিয়েছিলেন প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার পড়ুয়া।
চলতি বছরের নির্বাচনে অবশেষে এক দশক পর খাতা খুলেছে বিজেপির ছাত্র পরিষদ অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ বা এবিভিপি। জেএনইউ যুগ্ম সম্পাদক পদে জয় হয়েছে প্রার্থী বৈভব মীনার। গোটা ভোটগণনা পর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরিষদের মূল পদগুলিতে এগিয়ে ছিলেন এবিভিপির প্রার্থীরা। ক্যাম্পাসে দখিনা হাওয়া আসতে পারে বলেও কানাঘুষো শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু তা হয়নি। আপাতত একটা পদ নিয়ে জেএনইউ-এর বুকে নতুন অধ্যায় শুরু করেছে তারা। শেষ ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র সংসদের সেন্ট্রাল প্য়ানেলে একটি পদে জয় হাসিল করেছিল তারা। এরপর সরাসরি ২০২৫। তবে গত এক বছর ধরে ক্যাম্পাসে বামেদের গুরুত্বর টক্কর দিয়েছে এবিভিপি। কিন্তু তারপরেও তীরে এসে তরী ডুবেছে তাদের। একটা পদ হাসিল হলেও, ‘আশাপূর্ণ’ হয়নি বলেই মত সংগঠনের একাংশের।
অন্যদিকে, সংসদের বাকি তিন গুরুত্বপূর্ণ পদ যথাক্রমে সভাপতি হয়েছেন আইসা প্রার্থী নীতীশ কুমার। সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে জয় হয়েছে ডিএসএফ-এর দুই প্রার্থী মনীষা এবং মুনতেহা ফাতিমার। জয়ের পর মণীষা আবার বলেন, ‘আমার জয়ের কৃতিত্ব যায় বিশ্ববিদ্যালয়কে। জেএনইউ লাল ছিল, লাল থাকবে। আমরা সব সময়ই পড়ুয়াদের জন্য কাজ করেছি এবং আগামীতেও তাই করব।’ তবে এই ছাত্রদের ভোটে কিন্তু ‘ধাক্কা’ খেয়েছে মূল স্রোতের বামেদের অর্থাৎ CPIM-এর ছাত্র শাখা SFI। নেমে গিয়েছে তৃতীয়তে।