
শিলং: ফের মৃত্যুসংবাদ। এবার আর রাজা নয়। এল রাজের পরিবার থেকে। মেঘালয় মধুচন্দ্রিমায় হত্যাকাণ্ডে জড়িত সোনম-প্রেমিক রাজ কুশওয়াহার ঠাকুমা নাকি মেনেই নিতে পারছিলেন না নাতি এমন কাজ করেছেন। রাজ গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে খাওয়াদাওয়া বন্ধ করেছিলেন তিনি। এবার চূড়ান্ত পরিণতি। কষ্ট সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু হয়েছে ঠাকুমা রামলালির। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, হৃদযন্ত্র বিকল হয়েই মৃত্যু হয়েছে তার।
রামলালি উত্তর প্রদেশের ফতেহপুর জেলার গাজিপুরের বাসিন্দা। প্রয়াণের আগে বয়স ছিল ৭৪। তার স্বামী দরবারি সিং জানিয়েছেন, রাজের নাম জড়িয়ে পড়ার পর থেকেই রীতিমতো মানসিক অবসাদে চলে গিয়েছিলেন তিনি। এমনকি, মৃত্যুর আগে পর্যন্ত নিজের নাতির হয়েই গলা চড়িয়েছিলেন তিনি। বারংবার দাবি জানিয়েছিলেন, ‘সে এমন কাজ করতেই পারে না।’
মৃত্যুর আগে পর্যন্ত তার এই সমর্থন সংবাদমাধ্যমের দ্বারা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন তিনি। রাজের ঠাকুমা দাবি করেছিলেন, ‘নাতির বিরুদ্ধে সোনম ফাঁদ পেতেছে। সে নিজে খুন করে এবার প্রাণ বাঁচাতে তাঁকে টানছে।’ এই গোটা ঘটনার নেপথ্যে ক্ষমতাশালীদের হাত থাকতে পারে বলেও সন্দেহপ্রকাশ করেছিলেন তিনি।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন রাজ। করোনা পর্বে বাবার মৃত্যুর পর থেকে সংসারের দায়িত্ব গিয়েছিল তার কাঁধে। তবে সেই দায়িত্বকে নাকি কোনও দিন এড়িয়ে যায়নি রাজ। সবটা মেনে নিয়ে সামলেছে পরিবারকে। এবার তাকে নাকি দাঁড়াতে হল কাঠগড়ায়। যা দেখে হতাশ হয়ে পড়েছিল তার ঠাকুমা।
তবে টাইমস অব ইন্ডিয়া-র একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেঘালয় হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে মূলচক্রী সোনমই, দাবি তদন্তকারীদের। রাজকে তিনি শুধু নিজের সুবিধার্থে ব্যবহার করেছেন বলে সন্দেহ। সে যে শুধুমাত্র কার্যসিদ্ধির একটা মাধ্যম তা নিজেও টের পাননি রাজ।