নয়া দিল্লি: ২০২৪ সালে রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। বিজেপির কাছে অগ্নিপরীক্ষার এই নির্বাচন। তার আগেই চলতি বছরে একাধিক রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের পাশ করতে হবে। কিন্তু প্রথম পরীক্ষাতেই ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি, কর্নাটকে হাতছাড়া হয়েছে সরকার। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গদিতে বসেছে কংগ্রেস। বাকি রাজ্যেও যাতে একই পরিস্থিতি না হয়, তার জন্য় কড়া হাতে রাশ ধরেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(PM Narendra Modi)। বুধবারই নিজের বাসভবনে বিজেপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসেন নমো। বৈঠকের পরই এবার বিজেপির অন্দরে ব্যাপক রদবদলের সম্ভাবনা। এমনকী, লোকসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে মন্ত্রিসভাতেও বড় রদবদল করা হতে পারে।
বিদেশ সফর থেকে ফিরেই লোকসভা নির্বাচনের রোডম্যাপ বানাতে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বুধবার রাতেই দলের শীর্ষ নেতৃত্বদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হওয়া ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা, বিএল সন্তোষ সহ একাধিক বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে চলে ওই বৈঠক। ওই বৈঠকে দলের সাংগঠনিক কার্যকলাপ ও নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করা হয়। এরপরই জল্পনা শুরু হয়েছে, ব্যাপক সংগঠনিক রদবদল হতে পারে বিজেপির অন্দরে।
সূত্রের খবর, চলতি বছরে যে রাজ্যগুলিতে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে, অর্থাৎ মধ্য প্রদেশ, তেলঙ্গনা, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়ে বিজেপির সংগঠনে বড় পরিবর্তন আনা হতে পারে। বদল করা হতে পারে কর্নাটক ও হিমাচল প্রদেশের বিজেপির সংগঠনেও। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলিতে রাজ্য সভাপতি, স্টেট ইনচার্জ-সহ একাধিক পদে বড়সড় পরিবর্তন করা হতে পারে। এমনকী, ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনকে পাখির যোগ করে মন্ত্রিসভাতেও রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব স্তরে আলোচনা চলছে। জুন মাসের তৃতীয় সপ্তাহেই বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। এছাড়া জুনের ৬, ৭ ও ৮ তারিখ, টানা তিনদিন দলের বর্তমান পরিস্থিতি ও সম্ভাব্য সাংগঠনিক পরিবর্তন নিয়ে প্রথম পর্যায়ের বৈঠক করেছিলেন অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং বিএল সন্তোষ।