
আহমেদাবাদ: ‘ট্রমা কেয়ার বা এমার্জেন্সিতে পাঠানো হয়নি কাউকে। সোজা নিয়ে যাওয়া হয়েছে পোস্টমর্টেমের ঘরে।’ এমনটাই জানালেন আহমেদাবাদের বিজে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক পড়ুয়া জয় সাহা। ওই মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলের একাংশের উপরেই ভেঙে পড়েছে এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭ বিমান। মৃত্য়ু হয়েছে একাধিক চিকিৎসক পড়ুয়ারও। আবার ওই হাসপাতালেই নিয়ে যাওয়া হয়েছে অভিশপ্ত বিমানের যাত্রীদের। ঠিক কী পরিস্থিতি? কতজনের মৃত্যু হয়েছে, TV9 বাংলাকে সবটা জানালেন তিনি।
ওই চিকিৎসক পড়ুয়া জানিয়েছেন, তাঁদের হস্টেল চত্বরে ভেঙে পড়ে বিমান। বেশ কয়েকজন চিকিৎসক পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন, যাঁদের মেডিক্যাল কলেজের বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশিরভাগ পড়ুয়াই অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে। কারও কারও শরীরে হাড় ভেঙেছে বা অন্য কোথাও আঘাত লেগেছে।
বিমানযাত্রীদের কী অবস্থা হয়েছে? এই প্রসঙ্গে ওই বাঙালি চিকিৎসক বলেন, কাউকে ট্রমা কেয়ারে নিয়ে যাওয়া হয়নি, সবাইকে সোজা পোস্টমর্টেমের ঘরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কারণ কারও পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। মৃতের সংখ্যা স্পষ্ট করতে না পারলেও যাত্রীদের অবস্থা বর্ণনা করে বলেন, “কারও হাত কেটে পড়ে আছে। কারও পা কেটে পড়ে আছে। দেহ দেখে চেনার উপায় নেই। কোনও যাত্রীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা খুবই কম।”
এছাড়াও তিনি জানিয়েছেন, মেডিক্যাল কলেজ থেকে একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। তারা বলেছে যে বিমান ভেঙে পড়ার পর বিস্ফোরণে যে তাপমাত্রা তৈরি হয় তাতে কারও পক্ষে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়।