
নয়াদিল্লি: ২০১৭ সাল। তখনও রাজনীতিতে নামেননি প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। ভোটের প্রচারে দেখা যায়, দলের নেতাদের সঙ্গে দেখা যায়। কিন্তু দেখা যায় না রাজনৈতিক লড়াইয়ে, দলীয় বৈঠকে। সেই সময় পঞ্জাবে ক্যাপ্টেইন অমরিন্দর সিংকে জেতানোর ভার নিয়ে ছিলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনিও তখন রাজনীতিক হননি। ওই বছর একযোগে পঞ্জাব ও উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের ভোটকুশলীর দায়িত্বে ছিলেন পিকে। পঞ্জাবে কংগ্রেস ফিরেছিল। কিন্তু উত্তর প্রদেশ হাতছাড়া হয়ে যায়।
উত্তর প্রদেশে কংগ্রেসের হার নিয়ে দু’টি কারণ তুলে ধরেছিলেন পিকে। প্রথম, বারংবার তাঁর আর্জি সত্ত্বেও প্রিয়ঙ্কাকে টিকিট না দেওয়া। দ্বিতীয়, তাঁর কোনও কথায় কর্ণপাত না করা। এরপর কেটে গিয়েছে কত বছর। গঙ্গা-যমুনা হয়ে বয়ে গিয়েছে কত জল। ভোটকুশলী পিকে এখন রাজনীতিক। দল খুলেছেন। কিন্তু ভোটের খাতা খুলতে পারেননি। বিহারের ভোট পরীক্ষায় প্রশান্ত কিশোর পেয়েছেন শূন্য়। তারপরই বৈঠক। তাও আবার কার সঙ্গে? খোদ কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢ়রার সঙ্গে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র প্রতিবেদন অনুযায়ী, এনডিএ জোটের কাছে বিহারে ভয়াবহ হার। তারপরই বৈঠকে বসেছিলেন প্রশান্ত-প্রিয়ঙ্কা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা চলেছে সেই বৈঠক। কিন্তু কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানায়নি দু’পক্ষই। এমনকি বৈঠক নিয়েও সরাসরি কোনও মন্তব্য করেনি তাঁরা। এদিন এই বৈঠক নিয়ে প্রিয়ঙ্কাকে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, ‘আমি কার সঙ্গে দেখা করছি, কার সঙ্গে দেখা করছি না, তাতে কী যায় আসে?’ অন্যদিকে, প্রশান্ত কিশোরকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলেও তিনি কোনও উচ্চবাচ্য করেননি।
বিহারের ভোট হারের পর লড়াইকে আরও তীব্র করার বার্তা দিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। এক সময় ভোটকুশলী হিসাবে কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর সখ্য় কম ছিল না। তা হলে কি সেই সম্পর্ককেই নতুন মাত্রা দিতে চাইছে দু’পক্ষ। আগামীর লড়াইকে আরও তীব্র করতেই হাতে হাত রাখবে কংগ্রেস ও প্রশান্ত কিশোর। মাধ্যম হবেন প্রিয়ঙ্কা?