জীতিনের দলত্যাগেই মনে পড়ল ‘বিক্ষুব্ধ’ সচিনের নাম, কংগ্রেসের বিশেষ বার্তা পাইলটকে
গতবছরই মুখ্যমন্ত্রী বনাম উপ-মুখ্যমন্ত্রীর লড়াইয়ে রাজস্থান সরকার টালমাটাল হয়ে গিয়েছিল। দলের দুই প্রভাবশালী নেতার মধ্যে সমস্যা মেটাতে তিন সদস্যের একটি প্যানেল কমিটি গঠন করা হয়। গতবছর নভেম্বর মাসে আহমেদ পটেল করোনা সংক্রমণে মারা যাওয়ার পর সেই কমিটি কার্যত গায়েব।
নয়া দিল্লি: প্রথমে জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, তারপর কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে নাম লেখালেন আরেক নেতা জীতিন প্রসাদও। এক বছরের ব্যবধানেই কংগ্রেসের দুই জনপ্রিয় নেতার দলত্যাগেই বিজেপির পরবর্তী নিশানা হতে পারে সচিন পাইলট, এই আশঙ্কাতেই তড়িঘড়ি দলের তরফে তাঁকে বিশেষ বার্তা দেওয়া হল।
বুধবার জীতিন প্রসাদ কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ ২০ বছরের সম্পর্ক ছেদ করে বিজেপিতে যোগ দেন। এরপরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরতে শুরু করেছে আরেকটি নাম। প্রশ্ন উঠছে, এ বার কি তবে সচিন পাইলটের পালা?
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে উপ মুখ্যমন্ত্রী সচিন পাইলটের বিবাদ সকলেরই জানা। গতবছরই দল ছাড়ার হুমকিও দিয়েছিলেন পাইলট। সে সময়ে কংগ্রেসের শীর্ষমহলের তরফে প্রতিশ্রুচি দিয়ে বলা হয়েছিল, এক বছরের মধ্যেই পাইলটের সমস্যার সমাধান করা হবে। যদিও বছর পার হতে চললেও সেই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।
সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় পাইলট বলেছিলেন, “১০ মাস হয়ে গিয়েছে। আমায় বলা হয়েছিল কমিটি যথাযথ পদক্ষেপ করেব, কিন্তু বছরের অর্ধেক সময় কেটে গেলেও সেই বিষয়ে উচ্চবাচ্যই করা হয়নি। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় যে দলের যে সমস্ত কর্মীরা সবকিছু করছেন, তাদের কথাই শোনা হচ্ছে না।”
গতকাল জীতিনের দলত্যাগের পরই কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতে বলেন, “ফল পাওয়ার জন্য কিছু সময় তো দিতেই হবে। সচিন পাইলটকে ধৈর্য্য ধরতে হবে।”
উল্লেখ্য, গতবছরই মুখ্যমন্ত্রী বনাম উপ-মুখ্যমন্ত্রীর লড়াইয়ে রাজস্থান সরকার টালমাটাল হয়ে গিয়েছিল। দলের দুই প্রভাবশালী নেতার মধ্যে সমস্যা মেটাতে তিন সদস্যের একটি প্যানেল কমিটি গঠন করা হলেও গতবছর নভেম্বর মাসে আহমেদ পটেল করোনা সংক্রমণে মারা যান। তারপর থেকেই সেই কমিটি কেবল কংগ্রেসের খাতায়-কলমেই রয়েছে।