তৃতীয় ঢেউয়ের আগেই তৈরি ‘ব্লুপ্রিন্ট’, কীভাবে করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা হবে, জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক

করোনা আক্রান্ত শিশুদের ফুসফুস বা হৃৎযন্ত্রে সংক্রমণের কতটা প্রভাব পড়েছে, তা জানতে ৬ মিনিটের হাঁটা পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে।

তৃতীয় ঢেউয়ের আগেই তৈরি 'ব্লুপ্রিন্ট', কীভাবে করোনা আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসা হবে, জানাল স্বাস্থ্যমন্ত্রক
ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Updated on: Jun 10, 2021 | 7:15 AM

নয়া দিল্লি: তৃতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিতে পারছেন না বিশেষজ্ঞরাও। সংক্রমণের নতুন ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি, এমনটাই জানা গিয়েছে। তাই আগেভাগেই প্রস্তুতি সেরে রাখল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। ১৮ বছরের কমবয়সীদের কীভাবে করোনা পরীক্ষা করা হবে, তা নিয়ে বিস্তারিত গাইডলাইন প্রকাশ করল স্বাস্থ্যমন্ত্রক।

কী বলা হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নির্দেশিকায়-

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, শিশুদের করোনা চিকিৎসায় অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির যেন ব্যবহার না করা হয়। ১৮ বছরের কম বয়সীদের জন্য এই ওষুধটি কতটা সুরক্ষিত ও কার্যকরী, সে সম্পর্কে প্রয়োজনীয় তথ্য না থাকায় এই ওষুধ ব্যবহার করা উচিত নয়। একইসঙ্গে স্বল্প বা মাঝারি উপসর্গযুক্ত করোনা আক্রান্ত শিশুদের ক্ষেত্রে স্টেরয়েড ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

করোনা পরীক্ষার নতুন পদ্ধতি-

করোনা আক্রান্ত শিশুদের ফুসফুস বা হৃৎযন্ত্রে সংক্রমণের কতটা প্রভাব পড়েছে, তা জানতে ৬ মিনিটের হাঁটা পরীক্ষার কথা বলা হয়েছে। শিশুদের কার্ডিও-পুলমোনারি টলারেন্স যাচাই করতে ১২ উর্ধ্ব শিশুদের হাতে পালস অক্সিমিটার লাগিয়ে একটি বদ্ধ ঘরে টানা ৬ মিনিট হাঁটতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের গাইডলাইনে। যদি অক্সিজেন স্যাচুরেশন ৯৪ শতাংশের নীচে থাকে বা হঠাৎ করে ৩ থেকে ৫ শতাংশ স্যাচুরেশন কমে যায়, তাঁদের দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে কড়া নজরদারিতে রাখা ও প্রয়োজনে অক্সিজেন দেওয়ার জন্য। তবে যাদের অ্যাজমা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা করা হবে না।

চিকিৎসা পদ্ধতি-

যদি কোনও শিশুর দেহে গুরুতরভাবে করোনার উপসর্গ দেখা যায়, তবে দ্রুত অক্সিজেন থেরাপি শুরু করতে হবে। একইসঙ্গে দেহে জল ও ইলেকট্রোলাইটের মাত্রা বজায় রাখতে হবে। প্রয়োজনে কর্টিকস্টেরয়েড থেরাপিও শুরু করা যেতে পারে।

মাস্ক বিধি-

পাঁচ বছরের নীচের শিশুদের মাস্ক না পড়লেও চলে, অন্যদিকে ৬ থেকে ১১ বছর বয়সীদের মা-বাবার নজরদারিতে মাস্ক ব্যবহারের বিধান দেওয়া হয়েছে।

করোনার পাশাপাশি বর্তমানে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণও দেখা দেওয়ায়, করোনা আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে এই সংক্রমণের কোনও উপসর্গ দেখা গেলেই চিকিৎসকদের কালচার রিপোর্টের অপেক্ষা না করেই দ্রুত চিকিৎসা শুরুর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে খুব প্রয়োজন না পড়লে হাই-রেজোলিউশন সিটি স্ক্যান না করতে দেওয়ারই পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: সবে রাতের খাবার মুখে তুলছিলেন, আচমকাই পাশের বাড়ির উপর ভেঙে পড়ল চারতলা বাড়ি, মৃত কমপক্ষে ৯