Murshidabad School: সামনেই সেমিস্টার, কী হবে মুর্শিদাবাদের স্কুলগুলির? আদৌ খুলবে? ধন্দে শিক্ষকরাই
Murshidabad: সোম এবং মঙ্গলবার সরকারি ছুটি ছিল। সেই কারণে ছোট থেকে বড় ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল নিয়ে প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়নি। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে খুলতে চলেছে স্কুল। আর এই অবস্থায় তৈরি হয়েছে নতুন করে জটিলতা।

মুর্শিদাবাদ: বিগত কয়েকদিন ধরে তপ্ত পরিস্থিতি হয়েছিল মুর্শিদাবাদে। সুতি-ধুলিয়ান-জঙ্গীপুরের মতো এলাকায় অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। এবার সেই ধুলিয়ান-সামশেরগঞ্জের মতো এলাকায় বুধবার থেকে আদৌ কি স্কুল খোলা?চরম ধোঁয়াশায় শিক্ষক থেকে ছাত্রছাত্রীরা। কারণ,রাত পর্যন্ত নেই এখনও কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা আসেনি বলে জানিয়েছেন শিক্ষকদের একাংশ।
সোম এবং মঙ্গলবার সরকারি ছুটি ছিল। সেই কারণে ছোট থেকে বড় ক্লাসের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল নিয়ে প্রয়োজনীয়তা দেখা যায়নি। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে খুলতে চলেছে স্কুল। আর এই অবস্থায় তৈরি হয়েছে নতুন করে জটিলতা। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সুতি,সামশেরগঞ্জ এবং ধুলিয়ান এলাকার মতো ‘উপদ্রুত’ এলাকায় সরকারি স্কুলগুলি আদৌ খোলা হবে কি না, তা নিয়ে স্পষ্ট করে কোনও নির্দেশিকা আসেনি শিক্ষকদের কাছে।
এ দিকে বিভিন্ন সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকরা তাদের স্কুলের শিক্ষকদের জানিয়েছেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে আদৌ স্কুল খোলা থাকবে কি না। এদিকে উপদ্রুত এলাকার ছোট ছোট ছাত্র-ছাত্রীরা জানিয়েছেন, তাঁদের অনেকের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বইপত্র লুটপাট করে ছিঁড়ে দেওয়া হয়েছে। অনেকেই ঘর ছাড়া। এই অবস্থায় তারা স্কুল যাবে কীভাবে? সব মিলিয়ে চরম সংশয় পড়েছেন স্কুলের শিক্ষকরাই।
এদিকে এলাকার প্রায় সব কটি সরকারি স্কুলে কেন্দ্র বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। স্কুল খোলা থাকলে সেই ক্যাম্পের যাবতীয় জিনিসপত্র এবং সেনা জওয়ানরা কোথায় যাবেন, সেটা নিও তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে বুধবার সকাল থেকে স্কুল খোলা থাকবে কি না, তা নিয়ে রাত পর্যন্ত সংশয়ের মধ্যেই রয়ে গিয়েছে। তবে শিক্ষকরা নিশ্চিত, বুধবার সকাল থেকে ছাত্রছাত্রীরা এসে চরম সমস্যার মধ্যে পড়বে।
এদিকে বুধবার প্রতিটি সরকারি স্কুলের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। সেই পরীক্ষা পিছিয়ে সরকারিভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে ২১ এপ্রিল থেকে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে বিভিন্ন স্কুলের তরফে। অঙ্কুশ কুমার ভকত, স্কুল শিক্ষক বলেন, “এখনও পর্যন্ত হেডমাস্টার জানিয়েছেন কোনও নির্দেশ পাননি। যদি সেই নির্দেশ পান তাহলে ফোন করে জানিয়ে দেবেন। স্কুল আদৌ খুলবে কী খুলবে না কিছুই বুঝতে পারছি না।”





