
নয়াদিল্লি: কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে মরিয়া নয়াদিল্লি। পুতিনের পর জেলেনস্কির সফরের দিনক্ষণ নির্ধারণে ব্য়স্ত হয়ে পড়েছেন সাউথ ব্লকের কর্তারা। কারণ, বছর ঘুরলেই ভারতে আসতে পারেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট, তুঙ্গে জল্পনা। তবে এই প্রসঙ্গে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে মুখ খোলেনি নয়াদিল্লি।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্য়ম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত ও ইউক্রেনের কূটনৈতিকদের মধ্য়ে আলোচনা চলছে। পুতিনের দু’দিনের সফর মিটতেই ইউক্রেন প্রেসিডেন্টকে নয়াদিল্লিতে নিয়ে আসতে উদ্য়ত্ত হয়ে পড়েছে বিদেশমন্ত্রক। তবে এই সফরের নির্ঘণ্ট এখনও ধার্য হয়নি। গোটা ব্য়াপারটাই অত্যন্ত প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। কিন্তু শুধুই কি কূটনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ নিয়ে নয়াদিল্লি? নাকি নেপথ্য়ে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি কূটনৈতিক সমীকরণ?
সংশ্লিষ্ট প্র্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতের সঙ্গে মস্কোর সম্পর্ক নজর কেড়েছে ইউরোপের। ওই মহাদেশের বেশ কয়েকজন রাষ্ট্রনেতা, আমলা, কূটনৈতিক নয়াদিল্লিকে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে হস্তক্ষেপের জন্য আর্জি জানিয়েছে। অবশ্য়, এই হস্তক্ষেপ আসলেই শান্তি প্রতিষ্ঠায়। পুতিনের দু’দিনের সফরে আয়োজিত যৌথ সাংবাদিক বৈঠক থেকে সেই শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ তুলে ধরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেছিলেন, ‘ভারত নিরপেক্ষ নয়, শান্তির পক্ষে।’
একাংশের ধারণা সেই উদ্দেশ্যপূরণেই জেলেনস্কিকে ভারতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চলেছেন রাষ্ট্রদূতরা। যদি তা সফল হয়, তা হলে ভারতে এটাই হবে জেলেনস্কির প্রথম কূটনৈতিক সফর। এর আগে ১৯৯২, ২০০২ এবং ২০১২ সালে ভারতে এসেছিলেন ইউক্রেনের তৎকালীন রাষ্ট্রপতিরা। তবে ভ্লোদিমির জেলেনস্কি ক্ষমতায় আসার পর থেকে তিনি কখনও ভারত সফরে আসেননি। কিন্তু মোদী গিয়েছেন। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে মস্কো গিয়েছিলেন মোদী। দেখা করেছিলেন পুতিনের সঙ্গে। তারপর অগস্ট মাসেই গিয়েছিলেন ইউক্রেনে। হয়েছিল জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ ও বৈঠক।