Air Plane Crash: প্রতিশ্রুতি মতোই যেন ফিরলেন, তবে অন্য রূপে! বাড়ি এলেন ক্যাপ্টেন সুমিত, ছুটে গেলেন বাবা

Air Plane Crash: তারা যখন পৌঁছলেন, তখন তারা প্রাণহানি, দেহ প্রায় নেই। এসেছে কিছু দেহাংশ। এদিন সেই দেহাংশের সামনে দাঁড়ালেন সুমিত সবরওয়ালের বাবা। যে বিমান প্রাণ নিল তাঁর। মঙ্গলবার আহমেদাবাদ থেকে মুম্বইয়ে সেই বিমানে করেই এল সুমিতের দেহাংশ। তারপর তা পৌঁছে গেল তার বাড়িতে।

Air Plane Crash: প্রতিশ্রুতি মতোই যেন ফিরলেন, তবে অন্য রূপে! বাড়ি এলেন ক্যাপ্টেন সুমিত, ছুটে গেলেন বাবা
বাঁদিকে সুমিত সবরওয়াল, ডানদিকে বাবা পুষ্পকরাজ সবরওয়ালImage Credit source: X

|

Jun 17, 2025 | 11:53 AM

মুম্বই: তিনি বাবাকে জানিয়েছিলেন, শুধুমাত্র তাঁর দেখাশোনা ও এক সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য চাকরি ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তা আর হল না। মঙ্গলবার সেই ছেলের শেষকৃত্যের জন্য আসতে হল বাবাকে।

গত বৃহস্পতিবার কয়েক দশকের মধ্য়ে সবচেয়ে বড় বিমান দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল ভারত। এয়ার ইন্ডিয়া ১৭১, এখন যেন একটা অভিশপ্ত বিমানের নাম। একটা ঘটনা প্রাণ কেড়ে নিল শতাধিক। মারা গেল হাজার হাজার স্বপ্ন। কেউ শুরু করছিলেন নতুন জীবন। কারওর জন্য আবার বাড়িতে অপেক্ষা করছিলেন খুদে সন্তানরা। কিন্তু তাদের কারওরই আর আগের মতো অবস্থায় বাড়ি ফেরা হল না। আগের মতো বাড়ি ফেরা হল না ক্যাপ্টেন সুমিত সবরওয়ালেরও।

তারা যখন পৌঁছলেন, তখন তারা প্রাণহীন, দেহ প্রায় নেই। এসেছে কিছু দেহাংশ। এদিন সেই দেহাংশের সামনে দাঁড়ালেন সুমিত সবরওয়ালের বাবা। যে বিমান প্রাণ নিল সুমিতের। মঙ্গলবার আহমেদাবাদ থেকে মুম্বইয়ে শেষবারের জন্য বিমানে করেই এল সুমিতের দেহাংশ। তারপর তা পৌঁছে গেল তাঁর বাড়িতে। সেখানেই অপেক্ষা করছিলেন সুমিতের বাবা পুষ্করাজ সবরওয়াল ও পরিবারের অন্য সদস্যরা। ছেলের পরিণতি দেখে হাউহাউ করে কাঁদলেন তিনি।

বাড়িতে ঘণ্টাখানেক শোকজ্ঞাপনের পর বিমান চালকের মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় চাকালা শ্মশানে। এই সময় তার শেষযাত্রায় উপস্থিত থাকতে দেখা যায় স্থানীয় কয়েকজন বিধায়ক ও দেশের অন্যতম ব্যবসায়ী নিরঞ্জন হিরানন্দানি।

সুমিত সবরওয়ালের বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা কিন্তু মোটেই কম নয়। নিজের জীবৎকালে মোট ৮ হাজার ২০০ ঘণ্টা বিমান ওড়ানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। এমনকি, সুমিতের মৃত্যুর খবর পেয়ে থমকে গিয়েছিল তার উড়ান স্কুলের অধ্যাপকও।