
নয়াদিল্লি: গ্রামে গ্রামে বসবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। সাম্প্রতিক সময়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ‘বিস্ফোরণের’ পর এই প্রথমবার গ্রামকেও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ‘ঘেরাটোপে’ আনা নিয়ে ভাবিত কেন্দ্র। জানা গিয়েছে, সরাসরি পঞ্চায়েতের গ্রাম সভাগুলিকেই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
সর্বভারতীয় সংবাদংমাধ্য়ম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশের গ্রাম পঞ্চায়েতগুলির জন্য একটি নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর অ্য়াপ প্রকাশ করবেন পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী লালন সিং। এই নতুন প্রযুক্তির নাম দেওয়া হয়েছে ‘সভাসার’।
জানা গিয়েছে, আগামিকাল থেকে ত্রিপুরার বিভিন্ন গ্রামে এই প্রযুক্তির বাস্তবায়ন করা হবে। যা আগামী দিনে দেশের বাকি রাজ্যগুলিতেও লাগু করা হবে বলেও খবর। কিন্তু গ্রামের সভায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাজটাই বা কী? সূত্রের খবর মূলত একটি সভায় কী কী বিষয় আলোচনা হল, কতক্ষণ কোন বিষয়ে আলোচনা চলল, এই সব বিষয়ে নজরদারি চালাবে এই নতুন প্রযুক্তি। এক কথায়, ‘মিনিটস অব মিটিং’-কে তুলে ধরতেই আনা হচ্ছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে।
দেশের প্রতিটি গ্রামে ভাষা, তাদের বাচনশৈলী ভিন্ন। কোথাও বাংলা, কোথাও হিন্দি, কোথাও আবার কোনও আদিবাসী ভাষার চল রয়েছে। আর সেই ভাষাতেই গ্রামসভায় আলোচনা পর্ব চলে। নব্যযুগের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি তা বুঝতে পারবে? সূত্রের খবর, ভাষিনী নামে একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন ল্যাঙ্গুয়েজ মডেলের উপর ভিত্তি করেই এই ‘সভাসার’ তৈরি করা হয়েছে। সেই কারণেই এই নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আঞ্চলিক ভাষা বুঝতেও সক্ষম। আপাতত বাংলা, তামিল, হিন্দি, তেলেগু, মারাঠি এবং গুজরাটির মতো আঞ্চলিক ভাষাগুলি ঢুকে গিয়েছে সভাসারের কৃত্রিম মস্তিষ্কে।