Air India: ‘বাড়িতে আছে স্ত্রী, সন্তান…’, মহিলার গায়ে প্রস্রাব করার পর কী বলেছিলেন ওই যাত্রী?
Peeing in Air India flight: এয়ার ইন্ডিয়ার দাবি, তারা ভেবেছিল দু পক্ষের মধ্যে মিটমাট হয়ে গিয়েছে, তাই আর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
নয়া দিল্লি: মদ্যপ অবস্থায় বাথরুম পর্যন্ত যাওয়ার ক্ষমতা ছিল না। এক মহিলা সহযাত্রীর সিটের কাছে গিয়ে প্রস্রাব করেন মুম্বইয়ের ব্যবসায়ী। গত বছরের শেষে ওই ঘটনা ঘটলেও এফআইআর (FIR) হল গত ৪ জানুয়ারি। এক মহিলাকে এমন অস্বস্তিতে ফেলার পরও কেন কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জানা গিয়েছে, ঘটনার পর নাকি মহিলার কাছে ক্ষমা চাইতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। তাঁর পরিবার পরিজনের কথা ভেবে যাতে তাঁকে গ্রেফতারি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানাতে থাকেন তিনি। অভিযোগ দায়ের না করলেও, ঘটনার পরের দিনই ওই মহিলা একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India) গ্রুপ চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণকে। তা সত্ত্বেও সংস্থার তরফে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এয়ার ইন্ডিয়ার দাবি, তারা ভেবেছিল দু পক্ষের মধ্যে মিটমাট হয়ে গিয়েছে, তাই আর কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ওই মহিলার যে চিঠি লিখেছিলেন, তা এয়ার ইন্ডিয়ার করা এফআইআরের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। তাতে মহিলা তাঁর ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তি প্রস্রাব করার পর তাঁর পোশাক ও ব্যাগ ভিজে যায়। বিমানের কর্মীদের সে কথা জানালে, তাঁরা কেউ সে সব ছুঁতে চাননি। ব্যাগের ওপর জীবানুনাশক স্প্রে করে দেওয়া হয়, আর তাঁকে একটি শুকনো পোশাক দেওয়া হয়। আসন পরিবর্তন করার কথা বললে কর্মীরা জানান, আর কোনও আসন ফাঁকা নেই।
এরপর কর্মীরা ওই মহিলাকে জানান, অভিযুক্ত তাঁর কাছে ক্ষমা চাইতে চান। মহিলা সাফ জানিয়েছিলেন, তিনি ওই ব্যক্তির মুখ আর দেখতে চান না। সে কথা শোনেননি কর্মীরা। মহিলার অভিযোগ, জোর করে নিয়ে আসা হয় তাঁর কাছে। এরপর শঙ্কর মিশ্র নামে ওই ব্যক্তি বলতে থাকেন, তাঁর বাড়িতে স্ত্রী, সন্তান আছে। তিনি চান না, তাঁরা কেউ বিপাকে পড়ুক।
মহিলা জানিয়েছেন, তিনি নিজেই অত্যন্ত অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ছিলেন, তার ওপর ওই ব্যক্তি ক্ষমা চাওয়ার পর আর এফআইআর করেননি তিনি। কিন্তু পরের দিনই পুরো ঘটনার কথা জানিয়েছিলেন এয়ার ইন্ডিয়া কর্তৃপক্ষকে।