
আহমেদাবাদ ও দিউ: আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনায় একমাত্র জীবিত যাত্রী তিনি। এক সপ্তাহ পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। আর ছাড়া পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই নিজের ভাইয়ের শেষকৃত্যে যোগ দিলেন বিশ্বাস কুমার রমেশ। ভাইয়ের শেষকৃত্যে যোগ দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।
বছর চল্লিশের বিশ্বাস ব্রিটেনের নাগরিক। তাঁর পরিবার দিউয়ের বাসিন্দা। গত ১২ জুন এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানে ছিলেন বিশ্বাস ও তাঁর ভাই অজয়। দুর্ঘটনার পর বিমান থেকে একমাত্র বিশ্বাসই জীবিত বেরিয়ে আসতে পেরেছিলেন। তাঁকে হেঁটে আসতে দেখা গিয়েছিল। বিমান থেকে বেরিয়ে আসার পর বাড়িতে ভিডিয়ো কল করেছিলেন তিনি। কিন্তু, তখন জানাতে পারেননি, তাঁর ভাই অজয় কেমন আছেন।
দুর্ঘটনার পর আহমেদাবাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিশ্বাসকে। গতকাল সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে তাঁকে ছাড়া হয়। এদিকে, দুর্ঘটনায় মৃত যাত্রীদের দেহ হাসপাতালে রাখা ছিল। পরিজনদের সঙ্গে মৃতের ডিএনএ মিলিয়ে দেখে দেহ তুলে দেওয়া হচ্ছে। একইরকমভাবে মৃত অজয়ের দেহ শনাক্ত হয় বিশ্বাসের সঙ্গে ডিএনএ মিলে যাওয়ার পর। তারপরই অজয়ের দেহ বিশ্বাসের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বুধবার সকালে দিউয়ে শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় অজয়ের। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বাস। যে ভাইয়ের সঙ্গে ব্রিটেনে উড়ে যাওয়ার কথা ছিল, সেই ভাইয়ের শেষকৃত্য করতে হল তাঁকে। শেষকৃত্যে তাঁকে কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়।
এদিকে, এখনও পর্যন্ত বিমান দুর্ঘটনায় মৃতদের মধ্যে ১৯০ জনের দেহ শনাক্ত করা গিয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৫৯ জনের দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়ার ওই বিমানে ২৪২ জন ছিলেন। এক যাত্রী ছাড়া সবার মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া বিমানটি মেডিক্যাল কলেজে ভেঙে পড়ার পর নিচে আরও ২৯ জনের মৃত্যু হয়। বাকি মৃতদেহ শনাক্তের জন্য ডিএনএ পরীক্ষ চলছে বলে আহমেদাবাদ সিভিল হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে।