Plane Crash: বিমান দুর্ঘটনায় ৬ কোটি টাকা দিলেন UAE-তে কর্মরত চিকিৎসক, কারণ জানলে অবাক হবেন

Plane Crash: গত ১২ জুন বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। বিমানের এক যাত্রী ছাড়া সবার মৃত্যু হয়। তেমনই এই মেডিক্যাল কলেজের একাধিক ডাক্তারি পড়ুয়া ও চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পাঁচ দিন পর মৃতদের পরিজনদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন চিকিৎসক শামশীর ভায়ালীল।

Plane Crash: বিমান দুর্ঘটনায় ৬ কোটি টাকা দিলেন UAE-তে কর্মরত চিকিৎসক, কারণ জানলে অবাক হবেন
মৃত ডাক্তারি পড়ুয়াদের পরিজনদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়ার পর মৃতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রার্থনা করা হয়Image Credit source: TV9 Bangla

Jun 24, 2025 | 3:14 PM

আহমেদাবাদ: এয়ার ইন্ডিয়ার মর্মান্তিক বিমান দুর্ঘটনার পর কেটে গিয়েছে ১২ দিন। দুর্ঘটনার স্মৃতি এখনও দগদগে। প্রাণ হারিয়েছেন ডাক্তারি পড়ুয়া, চিকিৎসক। তাঁদের স্মৃতিকে সঙ্গী করেই মঙ্গলবার ফের চালু হল বিজে মেডিক্যাল কলেজ। ডাক্তারি পড়ুয়ারা ক্লাসে ফিরলেন। এই শোকের আবহে দুর্ঘটনায় মৃত ডাক্তারি পড়ুয়া, চিকিৎসকদের পরিজনদের হাতে তুলে দেওয়া হল আর্থিক সাহায্য। মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে ৬ কোটি টাকা আর্থিক সাহায্য করেছেন সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে (UAE) কর্মরত চিকিৎসক তথা চিকিৎসাক্ষেত্রে উদ্যোগপতি শামশীর ভায়ালীল। তাঁর সেই আর্থিক সাহায্য মৃতদের পরিবার ও আহতদের হাতে তুলে দেওয়া হল।

গত ১২ জুন বিজে মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে ভেঙে পড়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানটি। বিমানের এক যাত্রী ছাড়া সবার মৃত্যু হয়। তেমনই এই মেডিক্যাল কলেজের একাধিক ডাক্তারি পড়ুয়া ও চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। দুর্ঘটনার পাঁচ দিন পর মৃতদের পরিজনদের পাশে দাঁড়ানোর আশ্বাস দেন চিকিৎসক শামশীর ভায়ালীল।

তাঁর সেই আশ্বাস মতো ভিপিএস হেলথের প্রতিনিধিরা আবু ধাবি থেকে চেক নিয়ে বিজে মেডিক্যাল কলেজে পৌঁছন। মেডিক্যাল কলেজের ডিন চিকিৎসক মীনাক্ষী পারিখের অফিসে এদিন ওই চেক মৃতদের পরিজন ও আহতদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হাসপাতালের সুপার চিকিৎসক রাকেশ এস জোশী ও জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। মৃতদের পরিবার ও আহতদের হাতে চেক তুলে দেওয়ার পর মৃতদের উদ্দেশ প্রার্থনা করা হয়।

হস্টেলের বিমান ভেঙে পড়ায় চার ডাক্তারি পড়ুয়ার মৃত্যু হয়েছে। ওই চার মৃত পড়ুয়ার পরিবারের হাতে এক কোটি টাকা করে তুলে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনায় মৃত দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া রাকেশ দিয়োরার দাদা বিপুলভাই দিয়োরা বলেন, “আমরা কৃষক পরিবারের সন্তান। ভাইকে ঘিরে আমাদের পরিবারের স্বপ্ন ছিল। আমাদের চার বোন রয়েছে। বাবা অসুস্থ।” আর্থিক সাহায্যের জন্য শামশীর ভায়ালীলকে ধন্যবাদ জানালেন তিনি।

আর্থিক সাহায্য গ্রহণের পর কান্নায় ভেঙে পড়েন মৃত ডাক্তারি পড়ুয়া রাকেশ দিয়োরার ভাই-বোনেরা

এই চার মৃত ডাক্তারির পড়ুয়ার পাশাপাশি আরও ছয় মৃতের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয়। দুর্ঘটনায় নিজের স্ত্রী ও এক আত্মীয়কে হারিয়েছেন চিকিৎসক প্রদীপ সোলাঙ্কি। চিকিৎসক নীলকান্ত সুথার পরিবারের তিনজনকে হারিয়েছেন। বিপিটি পড়ুয়া ডাক্তার যোগেশ হাদাত তাঁর ভাইকে হারিয়েছেন। প্রত্যেক মৃতের জন্য ২৫ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়া হয় পরিজনদের হাতে।

ডিনের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে দুর্ঘটনায় গুরুতর জখমদের আর্থিক সাহায্যের জন্য আবেদন জানিয়েছিল জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন। পাঁচদিন কিংবা তার বেশিদিন হাসপাতালে থাকতে হয়েছে, এমন ১৪ জনকে সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হল।

মৃত পড়ুয়াদের পরিবারগুলিকে চিঠিও লিখেছেন চিকিৎসক শামশীর ভায়ালীল। চিঠিতে তিনি লেখেন, এই দুঃসময়ে পরিবারগুলি একা নেই, পুরো চিকিৎসক সমাজ তাদের পাশে রয়েছে। জুনিয়র ডক্টর্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে চিকিৎসক শেখর পারঘি বলেন, “আমরা আমাদের বন্ধুদের হারিয়েছিল। আমরা মর্মাহত। কিন্তু, এই দুঃসময়ে চিকিৎসক শামশীর যা করলেন, তার গুরুত্ব বলে বোঝানো যাবে না।”