AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Online Fruad: ‘কোন বানেগা ক্রোড়পতি’র নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা, ৯ লাখ টাকা খোয়ালেন মহিলা

Cyber Crime: কী কী পাবেন তিনি? সেই কথাও শোনানো হয়। পুরস্কারমূল্য হিসেবে ৩৫ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে উপহার হিসেবে একটি বিএমডাব্লিউ গাড়ি। এই সব শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান অনিশা দেবী।

Online Fruad: 'কোন বানেগা ক্রোড়পতি'র নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা, ৯ লাখ টাকা খোয়ালেন মহিলা
প্রতারণার নতুন ছক
| Edited By: | Updated on: Oct 25, 2022 | 2:16 PM
Share

তামিলনাড়ু: ফের অনলাইন প্রতারণার (Online Fraud) শিকার। আর এবার ‘কোন বানেগা ক্রোড়পতি’র (Kaun Banega Crorepati) নাম ভাঙিয়ে প্রতারণা। তার জেরেই ৯ লাখ টাকা খোয়ালেন তামিলনাড়ুর ত্রিচির বাসিন্দা এক মহিলা। প্রতারিত ওই মহিলার নাম অনিশা অমল। তিনি ত্রিচির মসজিদ স্ট্রিটের বাসিন্দা। ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল মাস খানেক আগে। ওই মহিলার কাছে একটি ফোন এসেছিল। সেখানে ফোনের ওপার থেকে তাঁকে জানানো হয়, তিনি নাকি কোন বানেগা ক্রোড়পতির লাকি উইনার। ফোনের ওপার থেকে এই কথা শুনেই আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে যান তিনি। কী কী পাবেন তিনি? সেই কথাও শোনানো হয়। পুরস্কারমূল্য হিসেবে ৩৫ লাখ টাকা। সেই সঙ্গে উপহার হিসেবে একটি বিএমডাব্লিউ গাড়ি। এই সব শুনে আনন্দে আত্মহারা হয়ে যান অনিশা দেবী। বুঝতেই পারেননি এর পিছনে কত বড় প্রতারণা চক্রের ফাঁদ পাতা ছিল।

অনিশা দেবী যে গোটা বিষয়টি বিশ্বাস করে নিয়েছেন, তা বুঝতে পেরেই ঝোপ বুঝে কোপ মারে প্রতারক। ফোনের ওপার থেকে বলা হয়, ওই মহিলাকে ট্যাক্স বাবদ ৯ লাখ ৩৯ হাজার ৫০০ টাকা ট্রান্সফার করতে হবে। নিজের কথা আরও বিশ্বাসযোগ্য করতে তুলতে প্রতারক বলে, ওই মহিলা যে পরিমাণ টাকা জিতেছেন, তার জন্য কর বাবদ ওই টাকা রিজার্ভ ব্যাঙ্কে জমা দিতে হবে। প্রথম দিকে অনিশা দেবী কিছুটা ইতস্তত বোধ করলেও পরে বিশাল অঙ্কের পুরস্কার মূল্য ও লাক্সারি গাড়ি পাওয়ার আশায় অচেনা অজানা ওই ব্যক্তির দেওয়া ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সেই ৯ লাখ টাকা ট্রান্সফার করে দেন।

সেই টাকা পাঠানোর পরই মহিলা বুঝতে পারেন, আসল ঘটনা। বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। ওই ৯ লাখ টাকা ট্রান্সফার করার পরেও প্রতিশ্রুতি মতো কোনও পুরস্কারমূল্য তিনি পাননি। এরপর অনিশা দেবী ত্রিচি মেট্রোপলিটন সাইবার ক্রাইম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪১৭ ধারা, ৪১৯ ধারা, ৪২০ ধারা এবং তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৬৬ ডি ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে।