
নয়া দিল্লি: জাতীয় গান ‘বন্দেমাতরম’-এর ১৫০ বছর পূর্তিতে সংসদে আলোচনা চলল দুদিন ধরে। হল বিতর্কও। বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে জবাব দিয়ে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ উদাহরণ দিয়ে দাবি করেন, কংগ্রেস কীভাবে ‘বন্দেমাতরম’কে অবহেলা করেছে। শুধু তাই নয়, এবারের আলোচনাতেও কীভাবে আপত্তি জানানো হয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করেন অমিত শাহ।
কংগ্রেস সাংসদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী সোমবার প্রশ্ন তুলেছেন বন্দেমাতরম নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন এখন? সে কথা উল্লেখ করেন অমিত শাহ। পাশাপাশি, তিনি মনে করিয়ে দেন, ১৯৯২-তে বিজেপি সাংসদ ‘বন্দেমাতরম’ সংসদে গাওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। লালকৃষ্ণ আদবানিও তখন বলেছিলেন, সংসদে এই গান গাওয়া উচিত। সেই সময় ইন্ডিয়া জোটের বহু নেতা-নেত্রী আপত্তি জানিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন অমিত শাহ।
কারা আপত্তি জানিয়েছিলেন, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে বিরোধীদের তরফ থেকে। উত্তরে অমিত শাহ বলেন, “আমি নিজে চোখে দেখেছি, অনেক নেতা বন্দেমাতরম গাওয়ার সময় সংসদ ছেড়ে চলে যায়। কারা সংসদ ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন, কারা এই গান গাওয়ায় আপত্তি জানিয়েছিলেন, সেই তালিকা আমার কাছে আছে। আমি দিয়ে দেব।”
অমিত শাহ আরও বলেন, “বন্দে মাতরমের সুবর্ণজয়ন্তীতে জওহরলাল নেহরু বন্দেমাতরমকে দু’টুকরো করে দিয়েছিলেন। গানের মহিমা ক্ষুন্ন করেছিল কংগ্রেস। সেই থেকে তোষণ শুরু। আর তার জেরেই পরবর্তীতে দেশভাগ হয়। বন্দেমাতরমকে দু’টুকরো না করা হলে দেশভাগ হত না।” শাহের আরও অভিযোগ, “বন্দেমাতরমের ১০০ বছর পূর্তিতে কোনও উদযাপন হয়নি, কারণ যারা বন্দেমাতরম বলত, তাদের জেলে পুরে দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী।”