Anti-BJP Leaders Meeting: ED-CBI-র অপব্যবহার নিয়ে বৈঠক অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী-নেতাদের, দিল্লি যেতে পারেন মমতাও

Central Investigation Agency: সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শেষেই সংসদে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে। সেই সময়ই এই বৈঠক হওয়ার কথা। আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, এনসিপি সহ নয়টি দল এই বৈঠকে যোগ দিতে পারে।

Anti-BJP Leaders Meeting: ED-CBI-র অপব্যবহার নিয়ে বৈঠক অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রী-নেতাদের, দিল্লি যেতে পারেন মমতাও
অলঙ্করণ: অভীক দেবনাথ।

| Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Mar 13, 2023 | 7:01 AM

নয়া দিল্লি: পর্দাফাঁস হচ্ছে একের পর এক রাজ্যে বড় বড় দুর্নীতির। নাম জড়াচ্ছে বড় বড় রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে প্রভাবশালী ব্য়ক্তিত্বদের। এদিকে বিরোধীদের দাবি, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার করছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার (BJP Government)। এই নিয়েই এবার সরব হতে চলেছেন অবিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা (Anti-BJP CMs)। আম আদমি পার্টির (Aam Admi Party) উদ্যোগেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। এই বৈঠকে যোগ দিতে পারেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (Mamata Banerjee)।

কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি, সিবিআইয়ের অপব্যবহার করা হচ্ছে, এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই সরব হয়েছেন কেন্দ্রের বিরোধী নেতারা। এবার বৈঠকেও বসতে চলেছেন তাঁরা। শীঘ্রই দিল্লিতে অ-বিজেপি মুখ্যমন্ত্রীরা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহার নিয়ে বৈঠকে বসবেন। আম আদমি পার্টির নেতৃত্বেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। বৈঠকে যোগ দিতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে যোগ দিতেই তিনদিনের দিল্লি সফরে যেতে পারেন তিনি, এমনটাই ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, চলতি মাসের শেষেই সংসদে বাজেট অধিবেশনের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে। সেই সময়ই এই বৈঠক হওয়ার কথা। আম আদমি পার্টি, তৃণমূল কংগ্রেস, আরজেডি, এনসিপি সহ নয়টি দল এই বৈঠকে যোগ দিতে পারে। সংসদ থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বেই কন্সটিটিউশন ক্লাবে বিরোধীদের বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। উল্লেখ্য, এই ক্লাবে আগেও একাধিকবার বিরোধীরা বৈঠকে বসেছেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতিই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহারের অভিযোগ তুলে নয়জন বিরোধী দলনেতা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠিতে স্বাক্ষর ছিল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও, আরজেডি নেতা ও বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ার, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব, ইউবিটি নেতা উদ্ধব ঠাকরে, জেকেএনসি নেতা ফারুক আবদুল্লা এবং পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানের। ওই চিঠিতে মণীশ সিসোদিয়ার গ্রেফতারির বিরোধিতা করার পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্বশর্মার মতো নেতারা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সেই অভিযোগও করা হয়।