নয়া দিল্লি: বহু চেষ্টা-চরিত্র করেও আটকানো যায়নি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দিল্লি যাত্রা। মঙ্গলবার তাঁকে তিহাড় জেলেও (Tihar Jail) পাঠানো হল। গরু পাচার মামলায় ইডি-সিবিআই(ED-CBI)-র জোড়া সাঁড়াশির চাপের মুখে পড়েছেন বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। একের পর এক আদালতে খারিজ হয়েছে জামিনের আবেদন। অসুস্থতার কারণ দর্শিয়েও পার পাননি। মঙ্গলবারই দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতের তরফে অনুব্রত মণ্ডলকে ১৩ দিনের হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। এখন অনুব্রত মণ্ডলের কাছে বাঁচার একমাত্র পথ হল দিল্লি হাইকোর্টে (Delhi High Court) ঝুলে থাকা মামলা। জানা গিয়েছে, আগামিকাল, বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে অনুব্রত মণ্ডলের জামিনের আবেদনের শুনানি রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এই মামলার শুনানি পিছলেও, আগামিকাল এই শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। সূত্রের খবর, অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ফের জামিনের আর্জি জানাতে পারেন তাঁর আইনজীবী।
বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে বিচারপতি দীনেশ কুমার শর্মার বেঞ্চে একাধিক মামলার শুনানি রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হল অনুব্রত মণ্ডলের মামলার শুনানি। সূত্রের খবর, ওই মামলায় যাতে অনুব্রত মণ্ডল জামিন পান, তার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করবেন অনুব্রতর আইনজীবী। জামিনের আর্জি হিসাবে অনুব্রত মণ্ডলের শারীরিক অসুস্থতাকেই তুলে ধরা হবে বলে জানা গিয়েছে। জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার একমাত্র শেষ উপায় আগামিকালের এই মামলার শুনানি। তিহাড় যাত্রা রুখতে না পারলেও, এই মামলার রায় নিয়ে আশাবাদী অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী।
জানা গিয়েছে, দুই মাস পেরিয়ে গিয়েছে, তারপরও চার্জশিট দেওয়া হয়নি, রাউস অ্য়াভিনিউ আদালতের এক্তিয়ার, ইডির গ্রেফতারের পদ্ধতিকে চ্যালেঞ্জ, প্রোডাকশন ওয়ারেন্টর বৈধতা- এই চারটি বিষয়কে হাতিয়ার করেই জামিনের আবেদন করবেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। এর আগে গত ১৭ মার্চ এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
প্রসঙ্গত, এর আগেও একাধিকবার আদালতে শারীরিক অসুস্থতার কারণ তুলে ধরেছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। অনুব্রত মণ্ডলের শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকার কারণে নিয়মিত অক্সিজেন, নেবুলাইজার দিতে হয়। চলতি সপ্তাহের সোমবারই দিল্লির রা্ম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল অনুব্রত মণ্ডলকে। তাঁর শ্বাসকষ্ট হয়েছিল বলেই জানা গিয়েছে। আগের দিন রাতে, অর্থাৎ রবিবার ইনহেলারও ব্যবহার করেন অনুব্রত। সেইদিন তাঁর সম্পূর্ণ শারীরিক পরীক্ষা করেন চিকিৎসকেরা। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। যতদিন ইডি হেফাজতে ছিলেন অনুব্রত, তাঁকে কারাগারের বদলে সাধারণ ঘরেই রাখা হয়েছিল। বর্তমানে তিহাড় জেলেও অনুব্রতের চিকিৎসার জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামিকাল হাইকোর্টের মামলায় এই অসুস্থতার বিষয়গুলিই তুলে ধরবেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী।