Supreme Court: ‘এটা ক্ষমা চাওয়া নাকি কুমির কান্না!’, সোফিয়া নিয়ে কুমন্তব্যে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে SIT গঠনের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের

Supreme Court on Sofiya Qureshi: গত বৃহস্পতিবার, মন্ত্রীকে ভর্ৎসনা করে তার করা কুমন্তব্যের জন্য তাকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি বি আর গভাই। এরপর নিজের সমাজমাধ্যমে একটি ক্ষমা চাওয়ার ভিডিয়োও পোস্ট করেছিলেন মন্ত্রী বিজয় শাহ। কিন্তু ক্ষমা চাইলেই কি ক্ষমা হয়?

Supreme Court: এটা ক্ষমা চাওয়া নাকি কুমির কান্না!, সোফিয়া নিয়ে কুমন্তব্যে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে SIT গঠনের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
ডান দিকে মন্ত্রী বিজয় শাহImage Credit source: Getty Image | PTI

|

May 19, 2025 | 7:56 PM

নয়াদিল্লি: ‘ওটা ক্ষমা চাওয়া নাকি কুমির কান্না?’, সোমবার শীর্ষ আদালতে ফের ভর্ৎসনার মুখে মধ্যপ্রদেশের মন্ত্রী বিজয় শাহ। দিন কতক আগেই ভারতীয় সেনার কর্নেল সোফিয়া কুরেশিকে নিয়ে কুমন্তব্য করে বিতর্কের মুখে পড়েছিলেন তিনি। তোলপাড় হয়েছিল রাজনীতি। মন্ত্রীর বিরুদ্ধে আসরে নেমেছিল বিরোধীরা। এমনকি, গোটা ঘটনায় হস্তক্ষেপ করতে হয় দেশের বিচার বিভাগকেও।

গত বৃহস্পতিবার, মন্ত্রীকে ভর্ৎসনা করে তার করা কুমন্তব্যের জন্য তাকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি বি আর গভাই। এরপর নিজের সমাজমাধ্যমে একটি ক্ষমা চাওয়ার ভিডিয়োও পোস্ট করেছিলেন মন্ত্রী বিজয় শাহ। কিন্তু ক্ষমা চাইলেই কি ক্ষমা হয়?

সেই সূত্র ধরেই এদিন আবার শীর্ষ আদালতে চাপে পড়লেন মন্ত্রী। তার ক্ষমা চাওয়ার প্রসঙ্গে বিচারপতি সূর্য কান্ত বলেন, ‘এটা কেমন ক্ষমা চাওয়া? ক্ষমা চাওয়ারও একটা ধরন হয়। মাঝে মধ্য়েই কিছু ব্যক্তি আইনি জটিলতা এড়িয়ে যেতে একটু বিনয়ী হয়ে ওঠে। কুমিরের কান্নাও কাঁদে। আপনার এই ক্ষমা চাওয়ায় কী সেই ধরনের? এমন একটা কুমন্তব্য করে আন্তরিক ভাবে কি সত্যি ক্ষমা চাওয়া যায় না?’

এরপরই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিয়ে মঙ্গলবার সকালের মধ্যে তিন সদস্যের একটি তদন্তকারী দল বা সিট গঠনের নির্দেশ দেন বিচারপতি। ওই দলে একজন মহিলা অফিসার-সহ তিন আইপিএস পদমর্যাদার পুলিশ অফিসারকে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি সূর্য কান্ত। পাশাপাশি, সিটকে ২৮ মে-র মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট জমা দেওয়ার কথা বলেন তিনি।

কী এমন বলেছিলেন বিজয় শাহ?

বিজয় শাহ বর্তমানে মধ্যপ্রদেশের আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রী তথা বিজেপি বিধায়ক। মঙ্গলবার একটি সভায় যোগ দিয়ে তিনি বলেন, ‘জঙ্গিদের আমাদের মা-বোনেদের সিঁদুর মুছে দিয়েছে, আমরা ওদের বোনকেই তার যোগ্য জবাব দিতে পাঠিয়েছি।’ এরপর কর্নেল সোফিয়ার ধর্ম পরিচয়কে কেন্দ্র করে এমন আপত্তিকর মন্তব্য ঘিরে ওঠে তীব্র নিন্দার ঝড়। চড়ে রাজনৈতিক পারদ।