
নয়াদিল্লি: ১৯৭৬ সাল। সৌদি আরবের আব্দুল-আজিজ বিশ্ববিদ্যালয়। ইকনোমিকসের ক্লাস চলছে। ক্লাস নিচ্ছেন অধ্য়াপক আব্দুল ইউসূফ আজাম। এই ক্লাসেই বসে রয়েছেন বিশ্বে কুখ্যাত জঙ্গি ওসামা-বিন-লাদেন। তাঁকে গোটা বিশ্ব তখনও চেনে না। আগামী দশ বছরের মধ্যে এই নামটাই যে একাংশের কাছে ভয়ের কারণ হয়ে উঠবে, তাও কেউ জানতেন না। লাদেনের গুরু বলতে একজনই। ওই ইকনোমিকসের ক্লাস নেওয়া অধ্যাপক আব্দুল আজাম। ১৯৮০ সালে এই দু’জন মিলে আফগানিস্তানে চলা ‘সোভিয়েত-রাজ’ শেষ করতে তৈরি করেছিল মাকতব-আল-খিদামত নামে একটি জিহাদি সংগঠন। সেই থেকেই শুরু হয় লাদেনের সশস্ত্র সংগ্রাম। কৃতী ছাত্র পরিণত হয় বিশ্বের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গিতে। লাদেনের এই পরিণতি মানুষকে ভাবিয়েছিল। সেই থেকেই উঠে এসেছিল ‘হোয়াইট কলার টেরর’ তত্ত্ব। সাম্প্রতিক কালে দিল্লি বিস্ফোরণ-কাণ্ড সেই ‘হোয়াইট কলার টেরর’ তত্ত্বকে আবার একবার নাড়া দিয়েছে। আত্মঘাতী জঙ্গি উমর নবি ভাবিয়েছে মানুষকে। সন্ত্রাসবাদী বলতে যে চিরাচরিত শব্দগুলো মানুষের মস্তিষ্কে...