
ভোপাল: তারা রাজ্য সরকারি কর্মী। কিন্তু তাদেরই নাকি বেতন দিচ্ছে না সরকার। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল মধ্য প্রদেশে। প্রায় ৫০ হাজার সরকারি কর্মচারী বেতনই পাননি গত ছয় মাস ধরে। যা ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য।
বেশ কিছু সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই সরকারি কর্মচারীরা ভুয়ো এমনটা কিন্তু মোটেই নয়। এদের প্রত্যেকের যথাযথ কাগজ রয়েছে। এমপ্লোয়ি কোডও রয়েছে। কিন্তু তারপরেও ঢুকছে না বেতন। তাহলে তারপরেও কীভাবে এমন কাণ্ড ঘটল?
সেই নিয়েই শুরু হয়েছে তদন্ত। গত ২৩ মে কমিশনার অব ট্রেজারি অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস গোটা ঘটনার ভিত্তিতে ডিডিও অফিসারদের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সে রাজ্যের অর্থমন্ত্রক এই প্রসঙ্গে একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, নিয়মিত ও অনিয়মিত উভয় প্রকারের কর্মীদের তথ্য যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। ট্রেজারি কমিশনাররা গোটা ঘটনার নজরদারির দায়িত্বে রয়েছেন।
রাজ্য স্তরের আর্থিক গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, এরকম একাধিক কর্মীর হদিশ পাওয়া গিয়েছে, যারা ট্রেজারি অ্যাপ দিয়ে নিজেদের বেতন চার মাস ধরে তোলেননি। পাশাপাশি, এই গোটা কারচুপি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই ট্রেজারির ৬ হাজার DDO-কে স্ক্যানারে রাখা হয়েছে বলেও খবর।
এনডিটিভি সূত্রে জানা গিয়েছে, যে ৫০ হাজার কর্মী বেতন পাননি তাদের মধ্য়ে ৪০ হাজার জন স্থায়ী সরকারি কর্মচারী। বাকি ১০ হাজার অস্থায়ী। যাদের ছয় মাসের মোট বকেয়া বেতনের পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে ২৩০ কোটি টাকা। কিন্তু কোথায় গেল সেই টাকা? তা নিয়ে চিন্তার আকাশ মধ্যপ্রদেশে।