
তেজপুর: রবির সকালে প্রায় গোটা গ্রাম ঘিরে ফেলল পুলিশ-প্রশাসন। এলাকায় এলেন জেলাশাসক। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হল উচ্ছেদ প্রক্রিয়া। ঘটনা অসমের জাপারিগুড়ি এলাকার। সেখানে নাকি প্রায় ১৭৫ বিঘা জমি হয়ে গিয়েছিল বেদখল। অবৈধ ভাবেই থাকছিলেন দখলদাররা। তাদের সরাতেই সাতসকালে শুরু অভিযান।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি-র একটি প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন প্রায় ৩০৯টি পরিবারকে উচ্ছেদ করেছে পুলিশ-প্রশাসন। ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছিলেন জেলাশাসক সীমান্ত কুমার দাস। তিনি জানিয়েছেন, “শান্তিপূর্ণ ভাবে উচ্ছেদ কাজ হয়েছে। এখানে মোট ৩০৯টি পরিবার ছিল, যারা প্রায় ১৭৫ বিঘা জমি বেদখল করে বসেছিল। তাদেরই আপাতত সরানো গিয়েছে। তবে এই প্রক্রিয়া হঠাৎ করেই হয়নি। দখলদারদের পয়লা অগস্টেই এই সংক্রান্ত একটি নোটিস প্রদান করা হয়েছিল। তাতে সাফ জানান হয়েছিল, ১৫ দিনের মধ্যে দখল করা জায়গা ছেড়ে দিতে হবে।”
তাঁর সংযোজন, “দখলদারী পরিবারগুলি এই এলাকা ছেড়ে আপাতত চলে গিয়েছে। বেশ কয়েকজন তাদের ছাউনি ঘর আবার ভেঙে দিয়েছে।” এই গোটা অভিযানের জন্য রবিবারের সকালে ওই এলাকা হয়ে ওঠে পুলিশে ছয়লাপ। মোতায়েন করা হয় প্রায় ৬০০ পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষী। এছাড়াও ছিল ডজন খানেক ট্র্যাকটরও।
কিন্তু এই দখলদাররা কারা? প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অসমের ওই এলাকার বেদখল হয়েছিল বাংলাভাষী মুসলিমদের দ্বারা। এবার তারা ভারতীয় নাকি বাংলাদেশি সেই প্রসঙ্গে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রশাসনের এই উচ্ছেদ অভিযানকে ‘অমানবিক’ বলেই দাগিয়ে দিয়েছে অসম সংখ্যালঘু ছাত্র পরিষদ বা এএএমএসইউ। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কুদ্দুস আলি সরকারের দাবি, “উচ্ছেদ অভিযান এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে। যতক্ষণ না ওই দুর্গতদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত এই অভিযান চালানো যাবে না।”