উত্তর-পূর্বের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অসমের: মোদী

Feb 07, 2021 | 4:29 PM

এদিন দু'টি মেডিক্যাল কলেজের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনও হয় মোদীর অনুষ্ঠানে। রাজ্য সড়ক ও দুটি গুরুত্বপূর্ণ জেলার সংযোগকারী সড়ক প্রকল্প 'অসম মালা'রও উদ্বোধন হয়।

উত্তর-পূর্বের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা অসমের: মোদী
অসমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

Follow Us

অসম: উত্তর পূর্ব ভারতের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে অসমের। রবিবার সোনিতপুরের ঢেকিয়াজুলিতে সড়ক প্রকল্প ‘অসম মালা’র উদ্বোধন করে এমনটাই বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিনের অনুষ্ঠানে চা-শিল্পের জন্য বরাদ্দ প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। বলেন, এবারের বাজেটে চা বাগানের কর্মীদের জন্য ১,০০০ কোটি টাকার বিশেষ যোজনার ঘোষণা করা হয়েছে। যাতে উপকৃত হবেন অসমের হাজার হাজার চা শ্রমিক। একইসঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ভারতের সুনাম নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।

এদিন নরেন্দ্র মোদী বলেন, উত্তর পূর্বে এখন হিংসা-অভাব-বৈষম্য-পক্ষপাত-সংঘর্ষ, এসব ইতিহাস। বিকাশের পথে এগিয়ে চলেছেন এখানকার মানুষ। প্রথম সূর্য উত্তর-পূর্ব ভারতে উঠলেও, পূর্বোত্তর ও অসমে বিকাশের এই সকালের জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হল মানুষকে।

বাংলার সঙ্গে আরও চার রাজ্যে সামনেই বিধানসভা ভোট। তালিকায় রয়েছে অসমের নামও। ভোটমুখী অসমে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এদিন তাঁর বক্তব্যে বারবার শোনা গিয়েছে কেন্দ্রের একাধিক প্রকল্পের খতিয়ান। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ অসমে প্রায় ১.৫ লক্ষ মানুষ আয়ুষ্মান ভারত যোজনার সুবিধা পাচ্ছেন। এই প্রকল্পে আওতায় ৩৫০-র বেশি অসমের হাসপাতাল রয়েছে। গরীব মানুষ আয়ুষ্মান প্রকল্পের জন্য বিনা খরচে চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন।” সোনিতপুর থেকে মোদীর ঘোষণা, “স্বাস্থ্যখাতে খরচ বাড়াতে এবার বাজেটে বরাদ্দ বেড়েছে। সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশের ৬০০-এর বেশি জেলায় ইন্টিগ্রেটেড ল্যাব তৈরি করা হবে। এর ফলে সুবিধা পাবেন প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষও।”

ভারতের কৃষক আন্দোলন নিয়ে পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ সম্প্রতি একটি টুইট করেন। সেখানে একটি ‘টুলকিট’ শেয়ার করেন তিনি। যদিও পরে তা তিনি সরিয়ে নেন। এই টুইটের প্রেক্ষিতে এফআইআরও দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। ভারতের কৃষি ব্যবস্থার উন্নতির লক্ষ্যে ভারত সরকার যখন একাধিক পরিকল্পনার কথা বলছে, সেখানে দিল্লির কৃষক আন্দোলন নিয়ে থুনবার্গের এই টুইট যথেষ্ট বিতর্কের উদ্রেক করে।

Next Article