
তিরুবনন্তপুরম: দুই সন্তানের মা। মাধ্যমিকে একবার ফেল। তারপরেও মরেনি আইনজীবী হওয়ার স্বপ্ন। কিন্তু বয়স? সেটাকে অজুহাত করে তো সবাই পিছনেই ঠেলে যাচ্ছে। তা হলে কি হার মেনে নেওয়া উচিত? যদি এই একটা প্রশ্নের উত্তর হ্যাঁ বলে তিনি পিছিয়ে যেতেন, তবে আজ আর এই কথাগুলো লেখার জায়গা থাকত না।
৪৬ বছর বয়সে গৃহবধূ থেকে তিনি হয়েছেন আইনজীবী। নিজের নাম দাখিল করেছেন কেরলে বার কাউন্সিলে। এই স্বপ্নজয়ীর নাম এম অম্বিকা। ১৮ বছর বয়সে বিয়ে হয় তাঁর। ২২ বছরে প্রথম সন্তান। সেই সময় আবার একবার দশম শ্রেণির পরীক্ষার জন্য বসেন তিনি। উত্তীর্ণ হন। বসেন দ্বাদশ শ্রেণীর পরীক্ষাতেও। এরপর ২০১৯ সালে ৪০ বছর বয়সে আইন নিয়ে স্নাতকের পড়াশোনার জন্য করার জন্য কলেজে ভর্তি হন অম্বিকা।
সেই থেকে প্রতিটা দিনই একটা পরীক্ষা। সংসার, সন্তান। তবে এই লড়াইটা ওতটাও কঠিন ছিল না তাঁর জন্য। অম্বিকা ছোটবেলাতেই নিজের বাবা-মাকে হারায়। দিদির ভরসাতেই চলত সংসার। নিজেও কাজ করেছে স্টেশন পরিস্কারের।
এদিন তিনি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন, ‘আমি যখন উচ্চ বিদ্য়ালয়ে পড়াশোনা করছি, সেই সময় সেখানকারই একটি হস্টেলে থাকতাম। মেধাবী ছাত্রীই ছিলাম। কিন্তু অনাথ হওয়ার কারণে মন অনেক চঞ্চল ছিল। কিছুই ভাল লাগত না। তাই ধীরে ধীরে পড়াশোনা থেকেও মন উঠে যায়। কিন্তু বিয়ে-সন্তানের পর সেই স্বপ্নপূরণে ইচ্ছা আবার চেপে বসে। শুরু হয় নতুন লড়াই।’