AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Anubrata Mondal: শেষমেশ তিহাড়েই ‘বিহার’ কেষ্টর, ১৩ দিনের জেল হেফাজত

Anubrata Mondal: গরু পাচার মামলায় অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। দোলের দিন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়।

Anubrata Mondal: শেষমেশ তিহাড়েই 'বিহার' কেষ্টর, ১৩ দিনের জেল হেফাজত
রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টে অনুব্রত (নিজস্ব চিত্র)
| Edited By: | Updated on: Mar 21, 2023 | 6:30 PM
Share

নয়া দিল্লি : শেষ পর্যন্ত তিহাড়েই ঠাঁই হতে চলেছে বীরভূমের একসময়ের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal)। গরু পাচার মামলায় মঙ্গলবার অনুব্রতকে ১৩ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল রাউস অ্যাভিনিউ কোর্ট। দোলের দিন দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁকে। তারপর থেকে ইডি-র হেডকোয়ার্টারে জেরা চলছিল তাঁর। এবার আদালতের নির্দেশে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে জেলে। গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত। সিবিআই-এর মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর দীর্ঘ কয়েক মাস আসানসোল সংশোধনাগারে বন্দি ছিলেন তিনি। পরে আদালত অনুমতি দেওয়ায় তাঁকে দিল্লি নিয়ে যায় ইডি।

সায়গল-মণীশের সঙ্গে একই জেলে ঠাঁই

আপাতত ১৩ দিন তিহাড় জেলেই থাকতে হবে অনুব্রতকে। আগামী ৩ এপ্রিল ফের রয়েছে এই মামলার পরবর্তী শুনানি। বর্তমানে তিহাড় জেলে রয়েছেন তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষী সায়গল হোসেন ও তাঁর হিসাব রক্ষক মণীশ কোঠারি। রয়েছেন এই মামলার অন্যতম মূল অভিযুক্ত এনামুল হকও।

নিরুত্তর অনুব্রত

এদিন আদালতে কার্যত বিধ্বস্ত দেখায় তাঁকে। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের মুখে একটা কথাও বলেননি তিনি। আগের মতো এদিনও এদিন সবুজ পাঞ্জাবী পরে আদালতে যান তিনি। পায়ে ছিল হলুদ-কালো রঙের হাওয়াই চপ্পল। আদালতে বসে তিনি পুলিশকে বলেন তাঁর হাঁটতে গেলে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। নিজের ইনহেলার সঙ্গে নিতে চান বলেও জানান তিনি। এদিন বন্ধ দরজার অন্দরে হয় শুনানি।

কী বলছে বিরোধীরা?

অনুব্রত মণ্ডলের এই তিহাড় যাত্রা যে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলকে নতুন করে অস্বস্তিতে ফেলেছে, তা বলাই বাহুল্য। এই প্রসঙ্গে বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘ইডি-র উদ্দেশ্য, সবাইকে সামনে বসিয়ে জেরা করে আসল সত্যি সামনে আনা।’ আর পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রতর তিহাড় বাস যে তৃণমূলকে আরও বেশি অস্বস্তিতে ফেলবে, তেমনটাই মনে করছেন তিনি। আর বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘তিহাড়ই কেষ্টর ভবিতব্য ছিল। তিহাড়ের সারাজীবন কেটে যাবে, আপাতত তিহাড়বাসীই হয়ে যাবেন অনুব্রত।’