৮৭তম জন্মদিনে অসংখ্য শুভেচ্ছা পেয়ে আপ্লুত রাস্কিন বন্ড

লেখকের জন্মদিনে (Birthday) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অসংখ্য পাঠক

৮৭তম জন্মদিনে অসংখ্য শুভেচ্ছা পেয়ে আপ্লুত রাস্কিন বন্ড
রাস্কিন বন্ড
Follow Us:
| Updated on: May 19, 2021 | 8:59 PM

মুসৌরি: আজ পাহাড়ি লেখকের জন্মদিন। সারা দেশ থেকেই শুভেচ্ছা পেয়েছেন তিনি। লেখককে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তাঁর প্রকাশকরা। ভারতীয় ইংরেজি সাহিত্যের সম্রাট রাস্কিন বন্ডের (Ruskin Bond) ৮৭তম জন্মদিন (Birthday) আজ। অনুরাগীদের অসংখ্য শুভেচ্ছা পেয়ে আপ্লুত বন্ড। নিজের ফেসবুক পেজ থেকে লাইভে এসে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এ রুম অন দ্য রুফের লেখক।

এই মহামারি ও লকডাউনের সময়ে লিখেই দিন কাটাচ্ছেন বন্ড। তাঁর কথায়, “আমি ঠিক আছি। একজন লেখক হিসেবে আমি সব সময় বাড়িতে থেকে কাজ করেছি। তাই এই লকডাউনে আমার তেমন কোনও অসুবিধে হচ্ছে না।” ছোটবেলায় পাঠ্য বইয়ে রাস্কিন বন্ডের লেখা পড়েননি এমন মানুষ কমই আছেন। করোনার আবহে পাহাড়ের কোলেই দিব্যি দিন কাটছে লেখকের। লেখালিখি করে সময় কাটাচ্ছেন তিনি।

পৃথিবীতে করোনা আসার আগে পর্যন্ত নানা অনুষ্ঠানে নিয়মিত যোগ দিতেন তিনি। একাধিক লিটারারি ফেস্টিভ্যালে আমন্ত্রিত হতেন রাস্কিন বন্ড। তবে ল্যান্ডোরে পাহাড়ের কোলে আইভি কটেজই সবচেয়ে বেশি প্রিয় তাঁর। একসময় ভাগ্যের অন্বেষণে ইংল্যান্ডে পাড়ি দিয়েছিলেন। এই মেকি জগত ভাল লাগেনি তাঁর। ফিরে এসেছেন মুসৌরিতেই। তাঁর বাবা ব্রিটিশ, মা ছিলেন ভারতীয়। আমাদের দেশকে ভালবেসে এখানেই সারাটা জীবন কাটিয়ে দিলেন বিশ্ববিখ্যাত লেখক রাস্কিন বন্ড।

সাধারণত ল্যান্ডোরে থাকলে তিনি মুসৌরি ম্যালের কাছে কেমব্রিজ বুক স্টলে শনিবার বিকেলে বসেন। পাহাড়ে বেড়াতে আসা অজস্র পর্যটক-পাঠক তাঁর বইয়ে অটোগ্রাফ নিয়ে যেন। সপ্তাহে একদিন পাঠকদের কাছাকাছি যেতে পেরে নিজেও আনন্দ পেতেন বন্ড। তবে করোনার আবহ সব বদলে দিয়েছে। এখন পাঠকের সঙ্গে মোলাকাতের সুযোগ নেই বন্ডের। ছাদের ঘরে লিখেই দিন কাটিয়ে দিচ্ছেন তিনি।

একাধিকবার কলকাতায় এসেছেন। বাংলা অনুবাদে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নানা বইপত্র। সাহিত্য আকাদেমি থেকে দেবীপ্রসাদ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুবাদে প্রকাশ পেয়েছে কিশোর উপন্যাস ‘পায়রা উড়াল’। যে কোনও বয়সের মানুষ তাঁর লেখার গুণমুগ্ধ পাঠক। বিশেষত খুদেরা তাঁকে ঘিরে আনন্দে মেতে ওঠে। আজ লেখকের জন্মদিনে তাঁকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অসংখ্য পাঠক।