
নয়াদিল্লি: সংক্রমণ দ্রুত শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না। শরীরের এই বিপজ্জনক সংক্রমণ সেপসিস ব্যাকটেরিয়ায় কারণে হয়। শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ক্ষতি করে। কিডনিরও ক্ষতি করে এই সংক্রমণ। লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়। এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যথেষ্ট কঠিন। তবে পতঞ্জলির গবেষণা বলছে, আয়ুর্বেদের ফাইটোকনস্টিটিউন্টের সাহায্যে এই রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। পতঞ্জলির ওই গবেষণাপত্র বায়োমেডিসিন অ্যান্ড ফার্মাকোথেরাপি অ্যাকাডেমিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।
পতঞ্জলির গবেষণায় বলা হয়েছে, সেপসিসের সময় প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কিডনির কোষের ক্ষতি করতে পারে। এর জেরে রক্ত প্রবাহ কমে যাওয়ার ফলে কিডনির অক্সিজেন এবং পুষ্টির উপর প্রভাব পড়তে পারে। পতঞ্জলির গবেষণা বলছে, কিডনির রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত যৌগের মতো ফাইটোকনস্টিটিউন্টস বা ফাইটোকেমিক্যালস।
ফাইটোকনস্টিটিউন্টস প্রদাহ কমাতে সাহায্য করতে পারে। জারণ চাপ কমাতেও সাহায্য করতে পারে। পতঞ্জলির গবেষণায় দেখা গিয়েছে, সেপসিসের প্যাথোফিজিওলজি, বায়োমার্কার এবং ফাইটোকনস্টিটিউয়েন্টের ভূমিকা সম্পর্কে বিস্তারিত গবেষণা করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গিয়েছে, অনেক ধরনের আয়ুর্বেদিক ওষুধ এবং ভেষজ দিয়ে সেপসিস নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে। গবেষণায় আদা এবং কোয়ারসেটিনের মতো উপাদানের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যেগুলি শক্তিশালী প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। সেপসিসের চিকিৎসায় কার্যকর হতে পারে।
পতঞ্জলির গবেষণা বলছে, কারকিউমিন, রেসভেরাট্রল, বাইক্যালিন, কোয়ারসেটিন এবং পলিডাটিনের মতো ফাইটোকনস্টিটিউন্টস কিডনি সম্পর্কিত সংক্রমণ এবং সেপসিসের কারণে সৃষ্ট রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ফাইটোকনস্টিটিউন্টসের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
গবেষণায় কিডনিকে সেপসিস থেকে রক্ষা করার কিছু উপায়ও বলা হয়েছে। যেমন, এই রোগের সময় নেফ্রোটক্সিক ওষুধগুলি সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত। অত্যাবশ্যক হলে তখনই নেওয়া দরকার। গবেষণায় বলা হয়েছে, সেপসিসের চিকিৎসায় প্রোটোকলাইজড ফ্লুইড রিসাসিটেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিছু ক্ষেত্রে সেপসিসের চিকিৎসার জন্য ভ্যাসোপ্রেসার ব্যবহার করা হয়। কিন্তু, কখনও কখনও এগুলি কিডনির আরও ক্ষতি করতে পারে। এমন পরিস্থিতিতে, এটি সতর্কতার সঙ্গে ব্যবহার করা উচিত।