
লখনউ: জেলাশাসকের দফতরে এসেছেন এক ব্যক্তি। সঙ্গে একটি ব্যাগ। সেই ব্যাগ খুলতেই চমকে উঠলেন সকলে। ব্যাগের ভিতর এক সদ্যোজাতর মৃতদেহ। ঘটনায় হইচই পড়ে গেল জেলাশাসকের দফতরে। শেষপর্যন্ত ওই ব্যক্তির কথা শুনে একটি বেসরকারি হাসপাতালকে সিল করার নির্দেশ দিলেন জেলাশাসক। ঘটনাটি উত্তর প্রদেশের লখিমপুর খেরির। কিন্তু, ওই বেসরকারি হাসপাতালকে সিল করার নির্দেশ দিলেন কেন জেলাশাসক?
মৃত ওই সদ্যোজাতর বাবাই সন্তানের দেহ ব্যাগে ভরে জেলাশাসকের দফতরে এসেছিলেন। বিপিন গুপ্তা নামে ওই ব্যক্তির অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী প্রসব যন্ত্রণায় ছটপট করছিলেন। তখনই ওই বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ডেলিভারির ফি বাড়িয়ে দেয়। এর ফলে সন্তান প্রসবে দেরি হয়। তার জেরেই তাঁর সন্তানের মৃত্যু হয়েছে বলে বিপিনের অভিযোগ।
ঘটনাটি শেয়ার করে এক্স হ্যান্ডলে লখিমপুর খেরির জেলাশাসক লেখেন, “সদ্যোজাতর মৃত্যুর ঘটনায় গোলদার হাসপাতাল সিল করেছে জেলা প্রশাসন। ওই হাসপাতালে চিকিৎসারত রোগীদের জেলা মহিলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জেলাশাসকের নির্দেশে এডিএম একে রাস্তোগী সৃজন হাসপাতাল পরিদর্শ করেন এবং প্রসূতিদের অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে রয়েছে জেলা প্রশাসন।”
नवजात की मौत के प्रकरण में जिला प्रशासन ने गोलदार अस्पताल को किया सील। भर्ती मरीजों को जिला महिला अस्पताल शिफ्ट कराया जा रहा है। DM के निर्देश पर ADM एके रस्तोगी सृजन अस्पताल पहुंचे, प्रसूता का हालचाल लिया। बेहतर इलाज के निर्देश दिए। जिला प्रशासन पीड़ित परिवार के साथ।@CMOfficeUP pic.twitter.com/D1HUnq0Tgx
— DM LAKHIMPUR KHERI (@DmKheri) August 22, 2025
সংবাদসংস্থা এএনআই-কে বিপিন গুপ্তা বলেন, “স্বাভাবিক প্রসবের জন্য ১০ হাজার টাকা ও সিজারের জন্য ১২ হাজার টাকা বলেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।” তাঁর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর প্রসব যন্ত্রণা বাড়ার পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ টাকা বাড়িয়ে দেয়। রাত আড়াইটে নাগাদ কিছু টাকা জোগাড় করেন ওই ব্যক্তি। তখন আরও টাকা দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। জানিয়ে দেয়, টাকা না দিলে অপারেশন শুরু করবে না।
বিপিন অভিযোগ করেন, তাঁ সদ্যোজাত সন্তানের মৃত্যুর পর স্ত্রীকে রাস্তায় বের করে দেয় হাসপাতালটি। তখন তিনি স্ত্রীকে নিয়ে এক চিকিৎসকের কাছে যান। তারপর ব্যাগে করে সন্তানের মৃতদেহ নিয়ে জেলাশাসকের দফতরে যান। জেলাশাসক সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেন বলে তিনি জানান।