
নয়াদিল্লি: লড়াইটা দ্বিমুখী নাকি ত্রিমুখী? বিহারে বিধানসভা নির্বাচন নিয়ে গত কয়েকমাস ধরেই এই নিয়ে আলোচনা চলছিল। একদিকে এনডিএ। অন্যদিকে মহাগঠবন্ধন। আবার রাজনীতির ময়দানে উঠে এসেছে প্রাক্তন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ পার্টি। কে কতটা প্রভাব ফেলল বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে? ২ দফায় ২৪৩টি আসনে ভোটগ্রহণের পর এই প্রশ্ন উঠছে। আর ভোটগ্রহণ শেষ হতেই সামনে এসেছে বুথফেরত সমীক্ষা। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে কি ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে এনডিএ? নাকি আরজেডির নেতৃত্বে ক্ষমতা দখল করবে মহাগঠবন্ধন? কতটা চমক দেবে প্রশান্ত কিশোরের দল? জেনে নেওয়া যাক, কী বলছে বিভিন্ন বুথফেরত সমীক্ষা?
নীতীশ সরকারের উন্নয়নের খতিয়ান দিয়ে ভোটের প্রচারের সময় এনডিএ নেতাদের বারবার বলতে শোনা গিয়েছে, এবারও ক্ষমতায় ফিরবেন তাঁরা। সব বুথফেরত সমীক্ষাও সেই ইঙ্গিত দিচ্ছে। যদিও বুথফেরত সমীক্ষা সঠিক হয় না। এটা ফলের আভাস দেয় মাত্র। তাও, বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষেই সব বুথফেরত সমীক্ষাই বলছে, ক্ষমতায় আসতে চলছে এনডিএ। ২৪৩ আসনের বিহার বিধানসভায় ক্ষমতায় আসতে ১২২টি আসন দরকার। বুথফেরত সমীক্ষাগুলিতে প্রয়োজনীয় সংখ্যার চেয়ে বেশি আসন দেওয়া হয়েছে।
ম্যাট্রিজের বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী এনডিএ ১৪৭ থেকে ১৬৭টি আসন পেতে পারে। মহাগঠবন্ধন ৭০ থেকে ৯০টি আসন পেতে পারে। জন সুরজ পার্টি সর্বোচ্চ ২টি আসন পেতে পারে। আর অন্যরা পেতে পারে ২ থেকে ৮টি আসন। পিপলস পালসের বুথফেরত সমীক্ষা অনুযায়ী, এনডিএ পেতে পারে ১৩৩ থেকে ১৫৯টি আসন। আর মহাগঠবন্ধন পেতে পারে ৭৫ থেকে ১০১টি আসন। তাদেরও বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, সর্বোচ্চ ৫টি আসন পেতে পারে জন সুরজ পার্টি। আর অন্যরা পেতে পারে ২ থেকে ৮টি আসন। কামাক্ষ্যা অ্যানালিটিকসের বুথফেরত সমীক্ষা বলছে, এনডিএ বিপুল আসনে জিতে সরকার গড়বে। ১৬৭টি আসন থেকে ১৮৭টি আসন পেতে পারে এনডিএ। সেখান মহাগঠবন্ধন পেতে পারে ৫৪ থেকে ৭৪টি আসন। জন সুরজ পার্টি সর্বোচ্চ ২টি আসন পেতে পারে। আর অন্যরা পেতে পারে ২ থেকে ৭টি আসন।
দেখে নিন কী বলছে বুথফেরত সমীক্ষা
বিহারে ২ দফায় নির্বাচনে ভোটদানের হার ছিল উল্লেখযোগ্য। বিশেষ নিবিড় সংশোধনের পর ভোটগ্রহণ হয়েছে বিহারে। প্রথম দফায় ৬৪ শতাংশের বেশি ভোট পড়ে। আর দ্বিতীয় দফায় ভোটদানের হার ৬৭ শতাংশের বেশি। এই ভোটদানের হার কি কোনও ইঙ্গিত দিচ্ছে? বুথফেরত সমীক্ষা কি মিলে যাবে? নাকি সব হিসেবে উল্টে যাবে ভোটগণনার পর? উত্তর পেতে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, ওইদিনই ফল ঘোষণা।