Woman kills husband: পথের কাঁটা সরাতেই খুন! স্বামীর দেহের টুকরোগুলো নিশ্চিহ্ন করে দিতে রাসায়নিক ঢালল স্ত্রী
Crime Story: প্রেমিকের সাহায্য নিয়েই স্বামীকে খুন করে ওই মহিলা। তারপর রাসায়নিক ঢেলে দেহ গলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করে। সেই রাসায়নিকে বিস্ফোরণ ঘটতেই প্রকাশ্যে আসে পুরো ঘটনা।
পাটনা: কর্মসূত্রে বাইরে থাকতেন স্বামী (Husband)। তিজ উপলক্ষে স্বামীকে বাড়িতে আসতে বলেন স্ত্রী (Wife)। পরিকল্পনা সব ঠিকঠাকই ছিল। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। ফ্ল্যাটে এসে পুলিশ দেখল পড়ে আছে মৃতদেহের কয়েকটা টুকরো। সেই সূত্র ধরেই শুরু তদন্ত। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ যা জানতে পেরেছে, তা শুনতে শিউরে উঠতে হয়। স্বামীকে বাড়িতে ডেকে নৃশংসভাবে খুন (Murder) করে স্ত্রী ও তার প্রেমিক। এরপর দেহ লোপাট করতে টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলা হয়। কিন্তু সেই টুকরো যদি কেউ চিনে ফেলে? তাই কোনও ঝুঁকি না নিয়ে অ্যাসিড ঢেলে দেহ গলিয়ে ফেলার চেষ্টাও করা হয়। বিহারের মুজফফরপুরের ঘটনা। রাকেশ নামে ওই ব্যক্তিকে খুন করেছে তাঁর স্ত্রী রাধা।
মুজফফরপুরের সিকন্দর নগর থানার পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করছে। জানা গিয়েছে, রাকেশকে খুন করার পিছনে শুধু তাঁর স্ত্রী রাধাই নয়, রয়েছে রাধার প্রেমিক সুভাষ, সাধার বোন কৃষ্ণা ও তাঁর স্বামী। জানা গিয়েছে, একটি ভাড়া করা ফ্ল্যাটের ভিতরেই খুনের ঘটনা ঘটে। যাতে দেহাংশ দেখে কেউ খুনের কিণারা করতে না পারে, তার জন্য রাকেশের দেহের ওপর ঢেলে দেওয়া হয় রাসায়নিক। দেহ গলিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু সেই রাসায়নিকে ঘটে বিস্ফোরণ। স্থানীয়রা কিছু বুঝতে না পেরে থানায় খবর দেয়। পুলিশ সেই খবর পেয়ে যখন ফ্ল্যাটে আসে, তখন দেখে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে দেহের টুকরো। এরপরই শুরু হয় তদন্ত।
ময়নাতদন্ত ও ফরেনসিক পরীক্ষার পর ওই দেহাংশ রাকেশের বলেই জানতে পারে পুলিশ। জানা গিয়েছে, অবৈধভাবে মদের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন রাকেশ। বিহারে মদ নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও সেই ব্যবসায় যুক্ত ছিলেন তিনি। সেই কাজের সূত্রে বাড়ির বাইরেই থাকতেন তিনি। আর সেই সুযোগেই রাকেশেরই ব্যবসার পার্টনার সুভাষের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে রাধার। পথের কাঁটা রাকেশকে সরাতে উদ্যোগী হন সুভাষ। আর সেই পরিকল্পনায় হাত মেলান রাধার বোন কৃষ্ণা ও তাঁর স্বামী। সুভাষের সাহায্য নিয়েই রাকেশকে খুন করেন রাধা।
রাকেশকে খুন করার পর এফআইআর করেছেন তাঁর ভাই দীনেশ সাহনি। অভিযোগ দায়ের হয়েছে চারজনের বিরুদ্ধে। দীনেশের অভিযোগ, সুভাষ নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে রাধার অবৈধ সম্পর্ক ছিল। তিনি আরও জানান, দিন কয়েক আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন রাকেশ। রাকেশ ও রাধা একটি ভাড়া করা ফ্ল্যাটে থাকতেন। বিস্ফোরণের খবর পেয়েই সেই ফ্ল্যাটে যান দীনেশ। সেখানে গিয়েই ভাইয়ের খুনের কথা জানতে পারেন। সিকন্দরপুর থানার পুলিশের অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করেছে।
আরও পড়ুন: Afghanistan Heroin: ট্যালকম পাউডার বলে কন্টেনারে ভরা ৩ হাজার কেজি হেরোইন