
বেঙ্গালুরু: কর্মস্থলে যাতায়াতের ক্ষেত্রে বর্তমানে বহু মানুষ বাইক ট্যাক্সি ব্যবহার করে থাকেন। ভিড় বাসের ঝঞ্ঝাট ছাড়াই যে কোনও জায়গায় দ্রুত পৌঁছতে বাইক ট্যাক্সির জুড়ি মেলা ভার। সেই বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা নিয়েই এবার বড় নির্দেশ কর্নাটক হাইকোর্টের।
সিঙ্গল বেঞ্চের অর্ডারই বহাল রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেল বাইক ট্যাক্সির এগ্রিগেটর সংস্থাগুলি। শহরে সব সংস্থার বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা বন্ধ রাখার নির্দেশ আগেই দিয়েছিল কর্নাটক হাইকোর্ট। শুক্রবার সেই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল কর্নাটক হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি কামেশ্বর রাও ও বিচারপতি শ্রীনিবাস হরিশ কুমারের বেঞ্চে।
গত ২ এপ্রিল কর্নাটক হাইকোর্টের বিচারপতি শ্যাম প্রসাদের বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছিল, গাইডলাইন না থাকায় ওলা, উবার, র্যাপিডোর মতো বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা বন্ধ রাখতে হবে শহরে। মোটর ভেহিকেলস অ্যাক্ট ১৯৮৮-র ৩ নম্বর ধারার অধীনে সরকার প্রয়োজনীয় গাইডলাইন জারি না করা পর্যন্ত রাজ্যে বাইক ট্যাক্সি চলতে পারে না বলেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। রাজ্যকে এই বিষয়ে আইন ও গাইডলাইন তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
সেই নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেওয়ার আর্জি জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল বাইক ট্যাক্সির এগ্রিগেটর সংস্থাগুলি। তাদের দাবি ছিল, রাজ্য সরকারের গাইডলাইন না থাকলেও কেন্দ্রের গাইডলাইন কার্যকর করে বাইক চালানো যেতে পারে। র্যাপিডো দাবি করেছে যে ৭৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই বাইক ট্যাক্সি ব্যবহার করা হয় কর্মস্থলে যাতায়াতের জন্য।
২০২১ সালের জুলাই মাসে, কর্নাটক সরকার বাইক ট্যাক্সি পরিষেবা নিষিদ্ধ করে একটি আদেশ জারি করে। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে র্যাপিড, উবার এবং ওলা। শুনানির সময়, হাইকোর্ট সরকারকে এই প্ল্যাটফর্মগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া থেকে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।