
হায়দরাবাদ: মেয়ের বিয়ে দিয়েছেন। সুখে সংসার করছে মেয়ে। কিন্তু, পরিবার চাইছে মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাক। এর জন্য তারা তান্ত্রিকেরও দ্বারস্থ হয়েছে। হঠাৎ কেন এমন চাইছে পরিবার? বিষয়টি সামনে আসার পর হইচই শুরু হয়েছে। নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন যুবতী ও তাঁর স্বামী। ঘটনাটি তেলঙ্গানার।
তেলঙ্গানার কামারেড্ডি জেলার রাজখানপেটের তাল্লাপল্লি আশরিতার সঙ্গে বিয়ে হয়েছে রাজান্না সিরসিল্লা জেলার ভেঙ্কটপুর গ্রামের রঘুলা হরিচরণের। সুখে সংসার করছেন তাঁরা। কিন্তু, আশরিতার পরিবার চায়, তাদের মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যাক। বাবা-মার কথা শুনে অবাক হয়ে যান আশরিতা। তিনি বাবা-মাকে জানিয়ে দেন, হরিচরণের সঙ্গে সুখে সংসার করছেন তিনি। বিবাহ বিচ্ছেদের কোনও প্রশ্নই নেই।
কেন মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ চাইছে আশরিতার পরিবার?
জানা গিয়েছে, বর্তমানে আর্থিক সমস্যায় পড়েছে আশরিতার পরিবার। তারা চাইছে, মেয়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হোক। তাহলে বিয়ের সময় তারা যে যৌতুক দিয়েছিল, সেগুলি ফেরত পাবে। তাতে তাদের আর্থিক সমস্যা কিছুটা মিটবে। ঋণ শোধ হবে। কিন্তু, আশরিতা বিবাহ বিচ্ছেদে রাজি না হওয়ায় তাঁর পরিবার এক তান্ত্রিকের শরণাপন্ন হয়। ওই তান্ত্রিকের সঙ্গে আশরিতার পরিবারের কথোপকথনের একটি অডিয়ো রেকর্ড সামনে এসেছে। যেখানে তান্ত্রিককে বলতে শোনা যায়, “আমি কি হরিচরণের হাত-পা কাটব? নাকি তাঁর জীবন নেব?”
অডিয়োটি প্রকাশ্যে আসার পরই ভয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন হরিচরণ ও তাঁর স্ত্রী। তিনি বলেন, প্রাণ ভয়ে বাড়ি থেকে বেরতে পারছেন না। পদক্ষেপ করার জন্য পুলিশের কাছে আবেদন জানান তিনি। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে তারা। প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে।
বিজ্ঞান মঞ্চ বলছে, এরকম তন্ত্র-মন্ত্রে কারও ক্ষতি করা যায় না। তবে হরিচরণ প্রাণ ভয়ে রয়েছেন।